জুলাই অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক রাজধানীর হাতিরঝিল থানার রমজান মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এ আদেশ দেন।
আদেশের পর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ইনুকে আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় দেখা যায় ইনুকে।
তখন পাশ থেকে কতিপয় লোক চিৎকার করে বলে ওঠেন-হাসে। শরম নেই? দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, এরপরও হাসে। লজ্জা-শরম নেই। এদের বাঁচিয়ে রাখা উচিত না। এসব কথা শুনেও মুচকি হাসতে থাকেন হাসানুল হক ইনু। পরে তাকে হাজতখানার দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে ভুক্তভোগী রমজান মিয়া অংশ নেন। সেদিন সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রমজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বেটার লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভুক্তভোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। তারা ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে মুগদা মেডিকেল কাছে হওয়ায় রিকশাযোগে সেখানে যাওয়ার পথে সেদিন দুপুর ১২টার দিকে রমজান মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. লিটন মিয়া গত ২১ আগস্ট রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরআর/এসএন