অভিনেত্রী কৃতী স্যাননের বহুদিনের স্বপ্ন ছিল একটি গভীর, আবেগঘন প্রেমের গল্পে নিজেকে মেলে ধরা, আর সেই স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হতে চলেছে। পরিচালক আনন্দ এল রাই-এর নতুন রোমান্টিক ছবি ‘তেরে ইশক মেঁ’-এর মাধ্যমে কৃতী পা রাখলেন সেই সিনেমার জগতে, যেটির জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। কৃতীর বিপরীতে থাকছেন ধনুশ, যাঁর সঙ্গে রঞ্জনা’ ছবিতে আনন্দ রাই ইতিমধ্যেই প্রেমের এক অনন্য ভাষা সৃষ্টি করেছিলেন।
সম্প্রতি ‘রঞ্জনা’ ছবির ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে কৃতী জানালেন, “আমি খুবই খুশি ‘তেরে ইশক মেঁ’-এর অংশ হতে পেরে। আমি সবসময় আনন্দ স্যারের পেছনে পড়ে থাকতাম, বলতাম—‘আরেকটা প্রেমের গল্প কবে বানাবেন?’ অবশেষে সেই দিন এসেছে।”
এই ছবিকে অনেকেই ‘রঞ্জনা’র স্পিরিচুয়াল সিকুয়েল হিসেবে দেখছেন। কারণ সেই একই আবহ, একই প্রেমের ব্যথা, আকাঙ্ক্ষা আর বেদনার সুর যেন ফিরে আসতে চলেছে এই নতুন গল্পে। তবে চরিত্র আলাদা, প্রেক্ষাপট আলাদা, কিন্তু অনুভব সেই একই—অসাধারণ রোমান্সের সুর।
ধনুশের বিপরীতে কাজ করাটাকেও কৃতী নিজের জন্য একটি অর্জন বলেই মানছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি ধনুশের বড় ফ্যান। ওর সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি।”
চলচ্চিত্র শিল্পে কানাঘুষো, এই ছবি হতে চলেছে কৃতীর কেরিয়ারের সবচেয়ে আবেগঘন এবং শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা। অনেকেই বলছেন, এই ছবিতে নিজেকে সম্পূর্ণ ভেঙে গড়ে তুলছেন তিনি—একজন অভিনেত্রী হিসেবে যেটা তাঁকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
‘তেরে ইশক মেঁ’ ছবির প্রযোজনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্মাতারা নভেম্বর ২০২৫-এ মুক্তির লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। এই রোমান্টিক ড্রামা যে বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমায় পরিণত হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আনন্দ এল রাই, যিনি ‘তনু ওয়েডস মনু’, ‘রঞ্জনা’র মতো হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের গল্প বলার জন্য পরিচিত, এবারও তাঁর সেই মানবিক এবং হৃদয়বিদারক স্টাইল নিয়ে ফিরছেন। আর তাঁর সঙ্গে কৃতী-ধনুশের অনবদ্য রসায়ন—সব মিলিয়ে ‘তেরে ইশক মেঁ’ ইতিমধ্যেই বলিউডপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে নিচ্ছে।
এই সিনেমা কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং একজন অভিনেত্রীর স্বপ্নপূরণ, আর একজন পরিচালকের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।