একজন বলিউডের ভাইজান তো অপরজন মিষ্টার পারফেকশনিষ্ট। ক্যারিয়ারের শুরুটা একসঙ্গেই হয়েছিল সালমান ও আমিরের। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে খানরা রাজত্ব করছেন বলিউডে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা।
তবে এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো ছেড়ে দিয়ে পরবর্তীতে আফসোসও করেছেন দুজন। যার মধ্যে একটি সিনেমার কথা বিশেষ করে বলতেই হয়। কারণ এই সিনেমাটির প্রস্তাব আমির খানের কাছে এলেও তিনি এটি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে সালমান খান এতে অভিনয় করে সুপারস্টার বনে যান।
বলছিলাম ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সিনেমার কথা। আমির খান এমন একটি সিনেমা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু যখন সেটি যখন পরে মুক্তি পায় তখন ব্লকবাস্টার হয়। শুধু তাই নয়, এটি ছিল ভারতের প্রথম দিকের ১০০ কোটি আয় করা সিনেমা গুলোর মধ্যে একটি। সালমান খান আগেই তারকাখ্যাতি পেলেও এই সিনেমা তাকে নতুন সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত করতে থাকে বলিউডে।
১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি যা পরিচালনা করেছিলেন সুরাজ বরজাতিয়া এবং এটি তিনিই লিখেছেন। এতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন সালমান খান এবং মাধুরী দীক্ষিত। তবে সালমানের আগে এর প্রস্তার আমির খানের কাছে যায়। কিন্তু স্ক্রিপ্টটি আমিরের খুব একটা পছন্দ হয়নি এবং তিনি রাজি হননি। এর পরে সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিচালক সুরাজ।
সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর সালমানের ভাগ্য বদলে যায়। এটি কেবল সালমানের ক্যারিয়ারে বড় সাফল্যই দেয়নি, বরং বক্স অফিসেও প্রচুর আয় করেছিল। সেই সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে সালমানের রসায়ন আলোড়ন ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছিল ১৯৯০ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ৬ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি হয়েছিল এবং তা ১২৮ কোটি টাকা আয় করেছিল বক্স অফিসে। এর গানগুলিও হিট হয়েছিল এবং সবচেয়ে হিট গান ছিল ‘দিদি তেরা দেবার দিওয়ানা’ যা আজও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। এই সিনেমার সাফল্যের পর সুরজ বরজাতিয়া সালমানের সঙ্গে পারিবারিক ঘরানার অনেক সিনেমা করে যেগুলোর প্রত্যেকটি ছিল বক্স অফিসে সুপারহিট।
টিকে