দক্ষিণী চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী কায়াদু লোহার আবারও ফিরছেন মালয়ালম সিনেমায়। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি এবার জুটি বাঁধলেন টোভিনো থমাসের সঙ্গে। তাদের নতুন ছবি “পল্লিচাট্টাম্বি” ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে দক্ষিণে।
ছবিটি পরিচালনা করছেন ডিজো জোস অ্যান্টনি, যিনি এর আগে 'কুইন', 'জন গণ মন' ও 'মালায়ালি ফ্রম ইন্ডিয়া'–র মতো আলোচিত ছবি নির্মাণ করেছেন। “পল্লিচাট্টাম্বি” একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত হলেও, এর গল্প কেবল অতীতের সাজসজ্জার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি মানুষের জীবনের চরম সংগ্রাম, সাহস ও অস্তিত্ব রক্ষার এক গভীর চিত্র তুলে ধরবে পর্দায়।
চলচ্চিত্রটির পটভূমি ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৮ সালের কেরালার হাই রেঞ্জ অঞ্চলে। এই সময়কাল ছিল অভিবাসী কৃষকদের জীবনসংগ্রামের এক বিস্মৃত অধ্যায়। ছবিতে তুলে ধরা হবে সেই সময়কার সামাজিক বৈষম্য, সহিংসতা এবং বিদ্রোহের অজানা ইতিহাস।
ছবির গল্প লিখেছেন সুরেশ বাবু, যিনি ‘শিকার’, ‘ওরুতি’ ও ‘দাদাসাহেব’-এর মতো চলচ্চিত্রে তার লেখনী দিয়ে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন। প্রযোজনা পরিকল্পনায় রয়েছেন ইতিহাসনিষ্ঠ নকশার জন্য খ্যাত দিলীপ নাথ।
চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছে ২৩ জুন থেকে। পরিচালকের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কায়াদু লোহার “ড্রাগন” ছবির পর থেকেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত কাজ করছেন। তেলেগু, তামিল এবং মালায়ালম ভাষার একাধিক ছবিতে তার উপস্থিতি ইতিমধ্যেই তাকে প্যান-সাউথ তারকায় পরিণত করেছে। এবার “পল্লিচাট্টাম্বি”-তে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন, যা এই ছবিতে নিয়ে এসেছে নতুন গতি ও গভীরতা।
তেওভিনো থোমাসের অভিনয়ের তীব্রতা, কায়াদুর মুগ্ধতা এবং পরিচালকের দক্ষ নির্মাণশৈলী মিলিয়ে “পল্লিচাট্টাম্বি” হতে চলেছে মালায়ালম চলচ্চিত্রে একটি সাহসী ও ব্যতিক্রমী সংযোজন। আবেগ, ইতিহাস ও অসাধারণ দৃশ্যপটের সংমিশ্রণে ছবিটি দর্শকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএম/টিকে