বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ শুরু হয়েছিল গলে। যেখানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটই পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। বিপরীতে দ্বিতীয় টেস্টে কলম্বোয় নেমেও তারা চমক পেয়েছে।
সাধারণত এখানকার সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠের পিচে দুই ধরনের ভিন্নতা দেখা যায়, একটি হচ্ছে অনেকটা সমান পিচে বড় রানের ইনিংস অথবা বেশ ঘূর্ণির উইকেট। তবে এবার ব্যাপক বাউন্স দেখা গেল কলম্বোর পিচে।
কিছুটা অস্বাভাবিক এই পিচে ভড়কে গেছে সফরকারী বাংলাদেশ দলও। যা নিয়ে বাংলাদেশি ওপেনার সাদমান ইসলাম জানান, ‘উইকেট কিছুটা স্লো। শট না খেললে তো রান হবে না। গলেও আমরা ভালোই শট খেলেছি যেগুলা ভালোই বাউন্ডারি আসছে। আজকে হয়ত সবাই, হয়ত দিনটা ছিল না আমাদের।’ এবারই প্রথম কলম্বোতে খেলতে নেমেছিলেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
অন্যদিকে, উইকেট কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব কঠিন নয় বলে মনে করছেন লঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলিনা কানদাম্বি। যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ভেন্যুতে এক দশকেরও বেশি সময় খেলেছেন।
স্বাভাবিকের চেয়ে এখানে এবার ব্যাটিংয়ে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে বলেই জানালেন এই কোচ। থিলিনা কানদাম্বি বলেন, ‘এটি ভিন্ন দুই গতিসম্পন্ন উইকেট। তবে প্রায় ১৫ বছর এখানে খেলার পর এবারের এসএসসি’র উইকেট অস্বাভাবিক লাগছে। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন উইকেট, অসম বাউন্স দেখে আমরাও বেশ অবাক হয়েছি।’
গলের চেয়ে ভিন্ন উইকেট হলেও কলম্বোর পিচ একেবারেই ব্যাটিংয়ের জন্য মরণফাঁদ নয় বলেও নিশ্চিত করেছেন লঙ্কান ব্যাটিং কোচ, ‘গলের চেয়ে এটি খুবই ভিন্ন কন্ডিশন। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আগের গল উইকেটের চেয়ে আরও বেশি ব্যাটিং-বান্ধবও, বাংলাদেশও খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমরা তাদের আউট করার জন্য কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছি, যা কাজে লেগেছে। আমরা তিনজন পেসার খেলাতে চেয়েছিলাম, তবে এখানকার উইকেট দেখে সেই সিদ্ধান্ত বদলাই। আমার কাছে এসএসসি’র এই ট্র্যাক তুলনামূলক অস্বাভাবিকই।’
কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনেই দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ২২০ রান তুলে তারা দিন শেষ করেছে। যেখানে সফরকারীদের সর্বোচ্চ স্কোরার সাদমান, ৯৩ বলে খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস। সাদমানসহ বাংলাদেশের প্রথম সাত ব্যাটারের অন্তত চারজন আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারিয়েছেন। ফলে ক্রিজে থিতু হয়েও তারা ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম ৩৫, লিটন দাস ৩৪ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৩১ রান করেছেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো ও সোনাল দিনুশা।
এফপি/এসএন