সকাল ১০টায় সারাদেশে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নিতে রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রমুখী হতে দেখা গেছে।
হাতে প্রবেশপত্র আর চোখেমুখে উত্তেজনা- এভাবেই দীর্ঘ প্রস্তুতির পর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপে পা রাখছে লাখো শিক্ষার্থী। ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেন। তাদের অভ্যর্থনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পুলিশ সদস্যদের তৎপর অবস্থানে দেখা যায়।
সরেজমিনে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে- সড়কে, গেটের সামনে ও ফুটপাথে জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। অনেকের চোখেমুখে চিন্তার রেখা, কেউ কেউ বইয়ে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে শেষ মুহূর্তে। অনেকে আবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে কথা বলছে।
কেন্দ্রের গেটে দেখা গেল, এক মা মেয়েকে শেষ মুহূর্তে কিছু উপদেশ দিচ্ছেন- ‘ভুল করিস না, প্রশ্ন পড়ে ভালো করে উত্তর দিস।’ পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এক অভিভাবক বললেন, ‘সারা রাত ঘুমায়নি মেয়ে। আজ যেন জীবনের সবচেয়ে বড় দিন ওর।’
সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ধাপে ধাপে প্রবেশ করানো শুরু হয়। প্রবেশপথে কর্তব্যরত শিক্ষকরা প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড যাচাই করছেন।
কেন্দ্রের সামনে দায়িত্বে থাকা একজন সহকারী শিক্ষক জানালেন, ‘পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শিক্ষার্থীরা এসে পৌঁছাচ্ছে। এটা ইতিবাচক, প্রস্তুতির প্রমাণ।
অন্যদিকে, আজ বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া লিখিত পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে (আলিম) ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার পরীক্ষার্থী রয়েছে।
নিরাপত্তা ও গুজব প্রতিরোধে জোর প্রস্তুতি
পরীক্ষা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম বা অপতৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরআর/এসএন