‘প্রবেশ পত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, স্কেল, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স, ক্যালকুলেটর (নন প্রোগ্রামেবল), কাঁটাযুক্ত ঘড়ি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার হলে প্রবেশ নিষেধ’- এমনি নোটিশ টানানো হয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে। নোটিশটি দেখে হতভম্ব হয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে পরীক্ষার হলে গিয়ে এ নোটিশ দেখতে পান তারা। এরপরই নোটিশের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, নোটিশটি ভুলবশত দেওয়া হয়েছিল। কম্পোজের মিসটেকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেটা রিমুভ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার হলে কি কি নিয়ে আসা যাবে আর কি কি আনা যাবে না, সেটা প্রত্যেকটা পরীক্ষার্থী জানে। এখানে আমাদের ইন্সট্রাকশন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না। বোর্ড যা বলবে, সবাইকে তাই মানতে হবে।
কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, প্রবেশ পত্র কলম, স্কেল, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স, ক্যালকুলেটর, কাঁটাযুক্ত ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এটা দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার হলে এমন নোটিশ বা নির্দেশনা আমরা আশা করি না। অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও উদাসিনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে এক সঙ্গে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় ৩৯টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছেন ২০ হাজার ৪৬৬ জন শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি ব্যাবস্থাপনা ও ডিআইবএস পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জেলায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ হাজার ৪৬৬ জন। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ হাজার ৪২৭ জন। কুষ্টিয়ায় মোট ৩৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার কুষ্টিয়ায় ৬টি উপজেলায় মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ২৬৫ জন। গত বছর মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ৭২০ জন। ২৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত যশোর বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কুরআন মাজিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরআর/এসএন