বার্বাডোজে চলমান টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ঝাড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। দ্বিতীয় দিনের খেলার পর ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সঙ্গে আলোচনায় বসে হোল্ডস্টকের টিভি আম্পায়ারিং প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্তে ধারাবাহিকতা নিয়ে ব্যাখ্যা চান তিনি।
স্যামির অভিযোগ, ‘এই আম্পায়ারের বিরুদ্ধে আমার সন্দেহ নতুন নয়। ইংল্যান্ড সফর থেকেই কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসছিল।আমরা শুধু সিদ্ধান্তে ধারাবাহিকতা চাই।’
বিতর্কের শুরু দুটি সিদ্ধান্ত ঘিরে। একটি রোস্টন চেজের এলবিডব্লিউ এবং অপরটি শাই হোপের ক্যাচ আউট। প্রথম ঘটনার সময় চেজকে প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউ দেন হোল্ডস্টক, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দাবি, বলটি ব্যাটে লেগেছিল এবং আলট্রা এজে স্পাইকও দেখা গিয়েছিল।
এরপর হোপের ইনসাইড এজ করা বল কিপার অ্যালেক্স কেরি নিচু হয়ে ধরেন, তবে রিপ্লেতে বল মাটি স্পর্শ করার ইঙ্গিত থাকলেও হোল্ডস্টক আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এত ভাঙে চেজ ও শাই হোপের ৬৭ রানের জুটি।
‘আমি শুধু বলছি, আপনি যা দেখছেন তাই বিচার করুন,’ বলেন স্যামি। ‘যদি একই ধরনের ঘটনার একটিকে আউট না দেন, অন্যটিকে দেন –তাহলে তো আরো বেশি সন্দেহ তৈরি হয়।
আমরা জানি না উনি (হোল্ডস্টক) কী দেখেছেন, কিন্তু আমরা যে চিত্র দেখেছি, তাতে দুই দলের জন্যই সিদ্ধান্তগুলো ন্যায্য মনে হয় না। মানুষ মাত্রেই ভুল করবে, কিন্তু আমরা ন্যায্যতা চাই।’
প্রতিবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে কিনা –এমন প্রশ্নে স্যামি বলেন, ‘সময়মতোই জানতে পারবেন।’
অবশ্য খেলোয়াড়দের এসব বিতর্কে না জড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন স্যামি, ‘আমি চাই না ওরা আম্পায়ারিং নিয়ে মাথা ঘামাক। ওরা জানে নিয়ম কী।
আমাদের নিজেদেরও অনেক ক্যাচ মিস হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যেও আমরা ম্যাচে ভালো অবস্থানে আছি।’
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কও একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম চেজ এলবিডব্লিউ ছিল, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় সেটা টিকে যায়। আবার আরেকটা বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ওকে আউট দেওয়া হয়েছে।’
স্যামির মতে, আম্পায়ারদের প্রতি বিশ্বাস হারানো দলের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে, ‘আমরা শুধু চাই, সিদ্ধান্তগুলো যেন দুই দলের জন্যই সমান ন্যায্য হয়। খেলাটাকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু আম্পায়ারদেরও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।’
এফপি/ টিকে