ব্যাট হাতে পাঁচ সেঞ্চুরির পরও হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেছে ভারত। এর নেপথ্যে কয়েকটি কারণ উঠে আসছে। প্রথমত দলের জঘন্য ফিল্ডিং। দ্বিতীয়ত লোয়ার অর্ডারের খারাপ ব্যাটিং।
যশস্বী জসওয়াল, লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিলের শতরানের পাশাপাশি ঋষভ পান্ত ম্যাচে জোড়া শতরান করেন দুই ইনিংসেই। কিন্তু তবুও ৮৪ বল বাকি থাকতেই পঞ্চম দিনে এসে ৩৭১ রান তাড়া করে হেডিংলি টেস্ট জিতে নেয় ইংল্যান্ড। একদিনে ৩৫০র ওপর রান তুলেছে ইংল্যান্ড, তাও আবার টেস্টের শেষ দিনে এসে। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় ভারতীয় দলের বোলাররা ঠিক কতটা ব্যর্থ হয়েছেন।
যদিও ভারতীয় দলের হারের বড়় কারণ খারাপ ফিল্ডিং। ক্যাচ মিস করে ইংল্যান্ডের হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডাররা। প্রথম ইনিংসেই ডাকেট, পোপদের ক্যাচ মিস হয়। পোপ শতরান করেন, ডাকেট হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ডাকেটের ক্যাচ মিস হয়, তিনি শতরান করেন। একা যশস্বী জসওয়ালই চারটি ক্যাচ মিস করেছিলেন, যার জেরে খেলার মোড় কার্যত ঘুরে যায়।
প্রথম ইনিংসে ওলি পোপ, বেন ডাকেট এবং হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ছাড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ডাকেটের ক্যাচ মিস করেন যশস্বী, যখন ইংলিশ ব্যাটার ৯৭ রানে খেলছিলেন। যশস্বীর এই ক্যাচ মিসের বহর দেখেই এর আসল কারণ জানালেন ভারতীয় দলের এক সময়ের শ্রেষ্ঠ ফিল্ডার মোহাম্মদ কাইফ। ২০০০-র দশকের শুরুর দিকে ভারতীয় ফিল্ডারদের মধ্য সব থেকে বিশ্বস্ত হাত ছিল কাইফের।
ইংল্যান্ডে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে তার ইনিংস আজও অনেকের মনে রয়েছে। সেই কাইফই যশস্বীর বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণ জানাতে গিয়ে বললেন, ‘যশস্বী কেন ক্যাচ মিস করছে? আমরা যখন ডিউকের বলে প্র্যাকটিস করি, তখন চোট পেলে স্ট্যাপ লাগাই। সেই সময়, আঙ্গুলগুলো আটকে থাকায়, মুভমেন্ট করা যায় না। স্ট্যাপে যেহেতু স্পঞ্জ থাকে, তাই ক্যাচ ধরা যায় না। বল স্পঞ্জে লেগে বাউন্স হয়ে যায়, এটাই ক্যাচ মিসের কারণ। বলের সঙ্গে হাতের যে সাধারণ কানেকশন সেটা ব্যাহত করা উচিত নয়।’
এফপি/ টিকে