রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তার জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফের এই রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, নুরুল হুদা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও পাঁচ কারণে পুলিশ তার ফের রিমান্ড চায়। রিমান্ড চাওয়ার আবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
রিমান্ড চাওয়ার কারণগুলো হলো- আসামির প্রদানকৃত চাঞ্চল্যকর তথ্যাদি যাচাই বাছাই করা; আসামি যেসব তথ্য দিয়েছেন তা নথি সংক্রান্ত তথ্য হওয়ায় এসব নথি উদ্ধার করে যাচাই বাছাই করা; আসামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে যেহেতু ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি পাতানো নির্বাচন ছিল সেহেতু সেটি একটি দাপ্তরিক সংঘবদ্ধ অপরাধ।
আসামির নির্দেশে অন্যান্য অফিসের সাথে যোগাযোগ করে কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি পাতানো নির্বাচন করানো হয় তা উদঘাটন; ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর্থিক বাজেট ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথা উদঘাটন করা; আসামি কে.এম নুরুল হুদা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারসহ জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ওইদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল রিমান্ডে রয়েছে। গত ২৫ জুন আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এফপি/ টিকে