ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানঘাঁটিতে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন (হাইপারসনিক) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিঞ্জহাল নিক্ষেপ করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। শুক্রবার (২৮ জুন) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

কিঞ্জহাল হালকা, যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য এবং একইসঙ্গে বেশ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। পশ্চিমা বিশ্বে কিঞ্জহাল ‘ড্যাগার’ বা ছোরা নামে পরিচিত। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৪৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
যে বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে, সেটি ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে খেমিলনিৎস্কি এলাকার স্তারোকোনস্তানতিনোভ সামরিক ঘাঁটির অন্তর্ভুক্ত। কিঞ্জহালের পাশপাশি একাধিক বিস্ফোরকবাহী ড্রোন বিমানবন্দরটিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও।

তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গত ৭ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে মোট ৬ বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতির প্রদান না করা, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবির— প্রভৃতি নানা ইস্যুতে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সূত্র : আরটি

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সফল বৈঠক Jun 28, 2025
img
জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Jun 28, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : ডা. জাহিদ হোসেন Jun 28, 2025
img
দুর্বল ১২ ব্যাংককে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক Jun 28, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : সাইফুল হক Jun 28, 2025
img
গাজার ত্রাণের আড়ালে আটার বস্তায় ভয়ংকর মাদক! Jun 28, 2025
সচ্ছতার বার্তা দিলেন সংগঠনের মুখপাত্র! Jun 28, 2025
সমাবেশ শেষে পাকড়াও মোবাইল চোর! Jun 28, 2025
img
খামেনিকে মৃত্যু থেকে বাঁচালাম, তিনি ধন্যবাদটুকুও দেননি : ট্রাম্প Jun 28, 2025
img
বাংলাদেশে বুলেটের রেভল্যুশন হয়েছে সামনে ব্যালটে রেভল্যুশন হবে: নাসীরুদ্দীন Jun 28, 2025
ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায় আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই: জয়া আহসান Jun 28, 2025
img
শাশুড়িকে ‘মা’ বলা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন কাজল Jun 28, 2025
একাত্তর টিভি নিয়ে এবার মুখ খুললেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী Jun 28, 2025
img
নির্বাচনের আশায় গত ১৬ বছর আন্দোলন করেছি: ফারুক Jun 28, 2025
img
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য চালু হচ্ছে স্মার্ট এনআইডি ও ভোটার নিবন্ধন Jun 28, 2025
img
আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সর্বোত্তম : প্রেস সচিব Jun 28, 2025
img
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ধারণাকে নিকৃষ্ট বলে আখ্যায়িত করলেন ক্লপ Jun 28, 2025
img
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র Jun 28, 2025
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই Jun 28, 2025
img
বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন Jun 28, 2025