নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্টের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি পছন্দ হয়নি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। দলের কথা ভেবে শান্ত আরেকটু চিন্তা করতে পারতেন- বুলবুল এমনটাই মনে করেন। শান্তর সাথে নেতৃত্বের ব্যাপারে কথা বলারও জন্যই নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে কলম্বোয় পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
শান্তর নেতৃত্ব ইস্যুতে সরগরম ক্রিকেট পাড়া। সমালোচনার মুখে পড়েছে বিসিবি। একসময় তিনি ছিলেন তিন ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন। এরপর স্বেচ্ছায় ছাড়েন টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব। এরপর ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তাকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে হুট করে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি।
বিষয়টি শান্তর ভালো লাগেনি। বিশেষ করে তিন ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন- এমন তত্ত্বের বিরোধী দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। তাই কলম্বো টেস্ট শেষে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন গণমাধ্যমের সামনে।
বিষয়টি অবাক করে বিসিবিকেও। কলম্বোয় অবস্থানরত বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘শুনছিলাম উড়ো উড়ো কথা। এ জন্য আমরা ফাহিম ভাইকে পরশু দিন কলম্বোতে পাঠিয়েছিলাম তার সঙ্গে কথা বলতে। সেখানে তিনি ড্রেসিংরুমে তিন অধিনায়ককেই একসঙ্গে পাবেন, তাদের সঙ্গে বসে কথা বলার জন্য।’
তবে শান্ত আরও চিন্তাভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, এমনই মনে করেন বুলবুল। যেহেতু শান্ত বাকি দুই ফরম্যাটও খেলছেন, ইতোমধ্যে ঘোষিত ওয়ানডে ফরম্যাটের দলেও আছেন, তাই শ্রীলঙ্কা সফর চলাকালে তার নেওয়া এই সিদ্ধান্ত দলের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে সংশয় সাবেক এই অধিনায়কের।
বুলবুল বলেন, ‘আমরা তো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেছি ওখানে। টেস্ট ম্যাচটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি সে পদত্যাগ না করত। এগুলো টিমের ওপর প্রভাব ফেলে তো। দেশে হলে একটা কথা, বিদেশে খেলা। আর ও তো অন্যান্য সংস্করণের দলেও আছে। আমার কাছে মনে হয়, এটা একজন অধিনায়ক হিসেবে আরেকটু চিন্তা করতে পারত সে, দলটা তো আগে।’
আরআর