গ্ল্যামার দুনিয়ায় টিকে থাকতে চেহারায় ‘কাটাছেঁড়া’র টেন্ড্র নতুন নয়! চাবুক ফিগার আর টিকালো চোখ-নাক পেতে অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারি, বোটক্সের মতো নানা ট্রিটমেন্টের শরণাপন্ন হন। শেফালি জরিওয়ালাও (Shefali Jariwala Death) সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। ২০০২ সালে ডিস্কো-ঠেকে ঝড় তোলা সেই দুঃসাহসী তরুণী তখন শরীরী আবেদনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, এমনকী লারা দত্তকেও টেক্কা দিতেন। তবে শেফালিক কেরিয়ারে বাদ সাধে মৃগী রোগ। তবে বলিউডে সেভাবে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে না পারলেও বিগত দু দশক ধরে আসমুদ্র হিমাচলের কাছে তিনি সেই ঝড় তোলা ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ নামেই পরিচিত। চেহারায় জেল্লা ধরে রাখতে তিনিও নাকি বিশেষ চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে যখন ধোঁয়াশা, তখন সেই আবহেই জানা গেল বছর খানেক ধরেই নাকি অভিনেত্রী একটি বিশেষ ধরনের ‘অ্যান্টি অ্যাজিং’ চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে শেফালি যে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন, সেটা বার্ধক্য পিছিয়ে দিতে সাহায্য করে। বয়স লুকোতে এহেন ট্রিটমেন্ট বিনোদুনিয়ার তারকাদের কাছে জলভাত। প্রায় সকলেই ‘অ্যান্টি অ্যাজিং’ ট্রিটমেন্ট করান। জানা গেল, শেফালি যে ট্রিটমেন্ট করাচ্ছিলেন সেটা সাধারণত ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে বার্ধক্যের দাগছোপ দূর করে। এই চিকিৎসায় যেসমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তাতে ভিটামিন সি এবং গ্লুটাথিয়নের মতো উপকরণ থাকে। গ্লুটাথিয়ন এমন এক ধরনের ড্রাগ, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি ত্বককেও ফর্সা করে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, হৃদযন্ত্রের উপর সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলে না গ্লুটাথিয়ন। এটা আদ্যোপান্ত এক ধরনের কসমেটিক ট্রিটমেন্ট। তবে শেফালির মৃত্যুর পর আরও একবার তারকাদের ‘অ্যান্টি অ্যাজিং’ ট্রিটমেন্টের চল চর্চার শিরোনামে। একাংশের ধারনা, এই বিশেষ চিকিৎসার জেরেই কি অকালে চলে গেলেন শেফালি জরিওয়ালা?
মাত্র বিয়াল্লিশেই প্রয়াত হিন্দি সিনেদুনিয়ার ‘রাতপরী’ শেফালি জরিওয়ালা (Shefali Jariwala)। যাঁর সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই হাসিখুশি জীবনযাপনের ঝলক মেলে, যিনি কিনা মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে পোষ্যকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দিব্যি হেঁটা বেড়ালেন আবাসনের মাঠে, কীভাবে সেই তরতাজা প্রাণ অচিরেই ঝরে গেল? কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বন্ধু এবং প্রতিবেশীরা।
আরআর