মালার চাদরে শায়িত ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালী জারিওয়ালার নিথর দেহ। লাল ওড়নায় ঢেকে, রাতের আঁধারেই শেষযাত্রায় রওনা হন স্বামী পরাগ ত্যাগী। শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগে স্ত্রীর কপালে শেষ চুমু এঁকে দেন তিনি।
শেষবারের মতো মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকেন শেফালীর মা। হঠাৎ করে কেন এভাবে থেমে গেল ৪২ বছরের অভিনেত্রীর জীবন? এ প্রশ্নে স্তম্ভিত গোটা বলিউড।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাতে আন্ধেরির ফ্ল্যাটেই মৃত্যু হয় শেফালীর। রাত ১টার দিকে পুলিশ তার মৃত্যুর খবর পায়।
স্বামী পরাগ ত্যাগী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ততক্ষণে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাতেই পরাগকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
লাল ওড়নায় শেফালীকে নেওয়া হলো শ্মশানে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
অভিনেত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে শেফালীর ফ্ল্যাটে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম।
ময়নাতদন্তের পর মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, প্রাথমিক রিপোর্টে ‘সন্দেহজনক’ কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলকভাবে আরও কিছু তদন্ত চলবে।
শেফালীর আকস্মিক এই মৃত্যুতে বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুরহস্য ঘিরে চলছে নানা জল্পনা।
এমনও শোনা যাচ্ছে, ‘অ্যান্টি এজিং’ চিকিৎসা চলছিল শেফালীর, নিচ্ছিলেন ইঞ্জেকশনও! সেটাও হয়তো মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সন্দেহজনক কিছু না মিললেও চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
এদিকে মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেফালীর শেষ পোস্ট ছিল প্রয়াত অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লাকে ঘিরে। একসময় ‘বিগ বস ১৩’-এর ঘরে সিদ্ধার্থের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন শেফালী। তার আগে গায়ক হরমিত সিংহকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী, যা ২০০৯ সালে ভেঙে যায়। পরে ২০১৪ সালে ‘পবিত্র রিশতা’ খ্যাত অভিনেতা পরাগ ত্যাগীকে বিয়ে করেন শেফালী। একই ধারাবাহিকের নায়ক ছিলেন প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতও।
এফপি/এস এন