আমির খানের অভিনয়জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডের যে ধারণা ছিল “প্যান-ইন্ডিয়া” মানেই সর্বভারতীয় দর্শকের কাছে একই ছাঁচের ছবি, সেই ট্রেন্ডকে পেছনে ফেলে আমির এবার বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন এক পথ। তিনি দক্ষিণ ভারতের দুই শীর্ষ পরিচালক লোকেশ কানাগরাজ এবং ভামসি পায়ডিপল্লির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করছেন নিজের প্রত্যাবর্তনের কৌশল।
প্রথম প্রকল্পে আমির কাজ করবেন লোকেশ কানাগরাজের সঙ্গে, যিনি বিক্রম, লিও এবং আসন্ন কুলি–র মতো সিনেমা বানিয়ে দক্ষিণ ভারতের অ্যাকশন ঘরানায় নতুন মাত্রা এনেছেন। এই ছবির শ্যুটিং শুরু হবে কুলি এবং কেইথি টু শেষ হওয়ার পর। ঘরানা হবে সুপারহিরো অ্যাকশন গাঢ়, শৈল্পিক, শৈলীতে ভিন্নতর। বলা হচ্ছে, এই সিনেমার মাধ্যমে আমির ঢুকবেন এক বিশেষ সিনেমা ইউনিভার্সে, যেখানে তিনি গড়ে তুলবেন এক নতুন পর্দার পরিচিতি।
দ্বিতীয় প্রকল্পে তিনি অভিনয় করবেন ভামসি পায়ডিপল্লির পরিচালনায়। মহর্ষি ও বারিসু-র নির্মাতা ভামসির নতুন সিনেমাটি হবে একেবারে বাস্তব, আবেগময়, সামাজিক বার্তায় ভরপুর। ছবির প্রযোজক দিল রাজু, যিনি এখন হিন্দি সিনেমার বাজারেও জোরদার অবস্থান তৈরি করছেন। এই সিনেমায় আমির ফিরবেন নিজের চেনা ক্যানভাসে—যেখানে গল্প হয় মানুষের মনের কথা বলার, সমাজের বাস্তবতা নিয়ে ভাবার।
সব মিলিয়ে আমিরের এই পরিকল্পনা একেবারে স্পষ্ট। দক্ষিণী সিনেমার শক্ত নির্মাতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি আবারও নিজের অভিনয়জীবনকে নতুন করে গড়তে চান। শুধু অ্যাকশন নয়, বার্তা দুটি দিককেই সমান গুরুত্ব দিতে চান তিনি। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, রজনীকান্তের কুলি ছবিতেও তিনি একটি বিশেষ চরিত্রে উপস্থিত হবেন।
‘সিতারে জমিন পার’ ছবির সাফল্যের পর বেশ কিছুটা সময় পর্দা থেকে দূরে ছিলেন আমির। এবার দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পকে ঘিরেই তৈরি হচ্ছে তাঁর প্রত্যাবর্তনের রূপরেখা। নতুন ভাষা, নতুন নির্মাণশৈলী, নতুন চরিত্র সব মিলিয়ে শুরু হচ্ছে এক নতুন আমির খানের গল্প।
পিএ/এসএন