ক্ষমতার পরিবর্তনে এক দলকে সরিয়ে আরেক দল বসাতে রক্ত দেয়নি কেউ: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের আমলে যত অপকর্ম হয়েছে, তার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। রাষ্ট্র ও মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে `দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা‘ কর্মসূচির প্রথম দিনে গাইবান্ধা জেলা শহরের পৌর পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও খুনি শেখ হাসিনা ভারতে বসে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশে আর কোনো দুর্নীতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। যে বাংলাদেশে আপনার-আমার অধিকার ও দায়িত্বের কথা লেখা থাকবে। আমরা বিগত সময়ের মতোই রাজপথে ছিলাম, এবং অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথেই থাকব। নতুন দেশ গঠনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি মানুষের জন্য মাঠে থাকবে।

গাইবান্ধা জেলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগের দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এনসিপি আপনাদের জন্য কাজ করতে চায়। সেজন্য নতুন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, রাজপথে নেমেছি। ২০২৪ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলাম—এখন উৎখাত হয়েছে, পতন হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনও গঠিত হয়নি।

এর আগে, দুপুর পৌনে ২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের পদযাত্রাটি জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে পৌঁছে। পদযাত্রাটি পৌঁছার পর কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এনসিপির উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা ফিতা কেটে এনসিপির সাদুল্লাপুর উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।

সেখানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চল মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চল মুখপাত্র সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাত অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়ের আভাস Jul 02, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মিছিল, নিহত ১০৯ Jul 02, 2025
img
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সাফল্য! Jul 02, 2025
img
দুই ঘণ্টার চেষ্টায় টিকাটুলির কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে Jul 02, 2025
img
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সর্বাধিক পতন, সংকটে যুক্তরাষ্ট্র Jul 02, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত Jul 02, 2025
img
জবি শিক্ষকের নামে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ Jul 02, 2025
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করল লাগেজ ট্রলি Jul 02, 2025
img
টিকাটুলিতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট Jul 02, 2025
img
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের Jul 02, 2025
প্রতিটি শহীদ পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসনের আশাবাদ খালেদা জিয়ার Jul 02, 2025
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভেবে দেখার অনুরোধ তারেক রহমানের Jul 02, 2025
img
'আমি ছাড়া কে আছে আমার' Jul 02, 2025
img
৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল Jul 02, 2025
img
তামিল ভাষা শিখছেন রাহুল দেব বসু, দক্ষিণী ছবির ইঙ্গিত? Jul 02, 2025
img
তিন বছরের মাথায় আলাদা পথে দীপশ্বেতা-কৌশিক, কেন এই সিদ্ধান্ত? Jul 02, 2025
img
সকালে খালি পেটে ছোলা খেলে যেসব উপকার মিলবে Jul 02, 2025
img
শরীয়তপুরে বিয়ের দাবিতে এনজিওকর্মীর বাড়িতে তরুণীর অনশন Jul 02, 2025
img
জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ Jul 02, 2025
img
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন Jul 02, 2025