ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ গেল ফিলিস্তিনি ফুটবলারের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধারাবাহিক হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৪৮ ঘণ্টায় চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরই মাঝে এক ফুটবলার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্যালিস্টিনিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। নিহত মুহান্নাদ আল-লিলি নরওয়েতে স্ত্রী ও নবাগত সন্তানের কাছে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

পিএফএ’র বরাতে ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সেন্ট্রাল গাজার আল-মাঘাজি শরণার্থী ক্যাম্পে গত সোমবার রাতে হামলা চালানো হয়। ড্রোন থেকে ফেলা একটি মিসাইল মুহান্নাদদের তিন তলার বেডরুমে আঘাত করে। এর ফলে মাথায় মারাত্মক আঘাত ও রক্তক্ষরণ হয় মুহান্নাদের। মারা যাওয়ার আগে তাকে প্রায় একদিন লড়তে হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মুহান্নাদ আল-লিলি গাজা ছেড়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যিনি গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা শুরুর আগে নরওয়েতে চলে যান। সেখানেই তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু দেখা হয়নি বাবা মুহান্নাদের সঙ্গে। স্ত্রী-সন্তানের কাছে ছুটে যেতে নিরাপদ সময় ও সুযোগ খুঁজছিলেন তিনি। এখন মুহান্নাদ আল-লিলি আর সেই সুযোগটি পাবেন না।

মুহান্নাদ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মোট ২৬৫ জন ফুটবল খেলোয়াড় প্রাণ হারালেন ইসারায়েলের হামলায়। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ক্রীড়াবিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৫ জনে। এর মধ্যে কেবল ফুটবল অঙ্গনেরই ২৬৫ জন রয়েছেন।

স্বদেশি ক্লাব খাদামাত আল–মাঘাজির হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন মুহান্নাদ। এরপর ক্লাবটির সিনিয়র দলকে ২০১৬–১৭ মৌসুমে তিনি ফিলিস্তিন প্রিমিয়ার লিগে নেতৃত্বও দেন। এরপর দলবদল করে যোগ দেন শাবাব জাবালিয়াতে। দুই মৌসুম সেখানে খেলেছেন মুহান্নাদ, এর ভেতর ২০১৮/১৯ মৌসুমে একবার প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয় তার দল শাবাব জাবালিয়া। পরবর্তীতে গাজা স্পোর্টস ক্লাবে গেলেও ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ইনজুরির সেখানে খুব একটা কারণে খেলা হয়নি। ফলে আবারও ফিরে আসেন খাদামাত আল–মাঘাজিতে।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই নতুন সংবিধানে যুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
৩৬ জুলাইয়ে শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম : আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
ইসরায়েলকে সশস্ত্র বাহিনী বড় ধরনের শিক্ষা দিয়েছে: পেজেশকিয়ান Jul 05, 2025
img
গোলাম মাওলা রনি অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব Jul 05, 2025
img
৮ বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের ভুল স্বীকার অভিনেত্রী মিথিলার Jul 05, 2025
img
টানা ব্যর্থতার পর ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে সব আশা অভিনেত্রী সারার! Jul 05, 2025
img
ধোনি-সাক্ষীর বিবাহবার্ষিকী: পথচলার ১৫ বছর পূর্ণ! Jul 05, 2025
img
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের কাছে বারবার হোঁচট ভারতের Jul 05, 2025
img
জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারাটা আমার জন্য আফসোস: আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তিনজন দেশে ফিরেছেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে : আসিফ নজরুল Jul 05, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
এনসিপির কর্মসূচি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা: প্রেস সচিব Jul 05, 2025
img
সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করা হবে: আখতার Jul 05, 2025
img
এজবাস্টনে বড় লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করল ভারত, চাপে ইংল্যান্ড Jul 05, 2025
img
৬ ঘণ্টা পর খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Jul 05, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর Jul 05, 2025
img
হাসারাঙ্গাকে সামলানোর নতুন কৌশল খুঁজে পেল বাংলাদেশ! Jul 05, 2025
img
সংস্কার শেষে এই সংবিধানের অধীনেই দেশ চলবে: রিজভী Jul 04, 2025
img
আওয়ামী লীগ শুধু হিন্দুদের ব্যবহার করেছে মাত্র: আযম খান Jul 04, 2025