রাশিয়া-ইউক্রেন সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কথা বলতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনকল করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘ সময় ধরে তারা ফোনে কথা বলেছেন; কিন্তু যে উদ্দেশে ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেছিলেন— সেই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইস্যুর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ট্রাম্প নিজেই সংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “আমি আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলাম। ইরানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা ফোনে কথা বলেছি এবং আপনারা বুঝতেই পারছেন, আমাদের আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির ইস্যুটিও ছিল।”
“কিন্তু এই ইস্যুতে (ফোনকলে) কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমি এতে খুশি নই।”
এদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিজে কোনো মন্তব্য করেননি পুতিন; তবে তার সহকারী ও অন্যতম মুখপাত্র ইউরি উশাকভ বলেছেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপ চলছে— ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে এক ব্রিফিংয়ে উশাকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন—আমরা এখনও সংঘাতের রাজনৈতিক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ইস্তাম্বুলে সম্পাদিত মানবিক চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।”
“তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে সংঘাতের শুরুতে রাশিয়া যেসব লক্ষ্য নিয়েছিল— সেসব অবশ্যই পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এই সংঘাতের মূলে যেসব কারণ রয়েছে— সেসব সমাধান করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি হলেও হয়তো তা স্থায়ী না ও হতে পারে।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এই যুদ্ধের বিরোধী ছিলেন এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এই যুদ্ধকে থামানোর পরিবর্তে আরও উসকে দিচ্ছে— এমন সমালোচনাও তিনি করেছেন বেশ কয়েক বার।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামানোকে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি।
সেই অনুযায়ী চেষ্টাও করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনকে ৬ বার ফোনকল করেছেন তিনি; ইস্তাম্বুলে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে যে সংলাপ শুরু হয়েছে— সেখানেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
সূত্র : আরটি
এসএন