শ্রম খাতের আড়ালে জঙ্গি সংগ্রহের অভিযোগ মালয়েশিয়ার আইজিপির

মালয়েশিয়ায় বিদেশি মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএসআই) নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা দেশটির বিভিন্ন শ্রম খাতে যুক্ত। তারা আইএসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ পাঠাত সিরিয়া ও বাংলাদেশে থাকা গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সেলে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করার পর তদন্তে এমনটা উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খালিদ ইসমাইল।

আইজিপি বলেন, আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম খাত থেকে, বিশেষ করে অভিবাসী সম্প্রদায় থেকে সদস্য নিয়োগ করেছিল। যারা বিভিন্ন কারখানা, পেট্রোল স্টেশন ও নির্মাণশিল্পে নিয়োজিত।

শুক্রবার (৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে (এফএমটি)।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদবিরোধী এক অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ৩৬ জন বাংলাদেশি, যারা সিরিয়া ও বাংলাদেশের ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেলগুলোকে অর্থায়ন করছিল বলে অভিযোগে উঠেছে।

মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, তারা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও নিয়োগ করেছিল, আন্দোলনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য ছিল।

আইজিপি আরও বলেন, সংগঠনটি সিরিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য অথবা আইএসের জন্য সদস্য নিয়োগের চেষ্টা করেছিল। তারা সিরিয়া, আইএস এবং বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল।

খালিদ বলেন, আন্দোলনটি মূলত টাচ এন গো, বিকাশ ও আন্তর্জাতিক মানি এক্সচেঞ্জ পরিষেবার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য তাদের প্রতি বছর ৫০০ রিঙ্গিত দিতে হবে এবং তাদের সামর্থ্য অনুসারে অবদান রাখতে হবে।

আইজিপি জানান, সন্ত্রাসী সংগঠনে অংশগ্রহণ, চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৬ক অধ্যায়ের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৫ জনকে নির্বাসনের জন্য অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধিকতর তদন্ত এবং বিচারের জন্য ২০১২ সালের নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের অধীনে ১৬ জন এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এফপি/এসএন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৮ ঘণ্টার ঘুম কি আদৌ জরুরি? জেনে নিন Jul 05, 2025
img
আল্লু অর্জুন ও অ্যাটলির অ্যাকশন ছবিতে অভিনেত্রী ম্রুনাল ঠাকুরের ঝলক! Jul 05, 2025
img
রাজপথ এনসিপি ও ছাত্র-জনতার দখলে থাকবে: সামান্তা শারমিন Jul 05, 2025
img
টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় প্রাণ গেল অন্তত ১৩ জনের Jul 05, 2025
img
‘আরও ভাল হওয়ার জায়গা আছে’, আমিরকে সরাসরি সমালোচনা নতুন প্রেমিকা গৌরীর! Jul 05, 2025
img
'জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে' Jul 05, 2025
img
'বিএনপিতে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের স্থান নেই' Jul 05, 2025
img
হাইকোর্টে খারিজ সাইফের আবেদন, ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে যাবে সরকারের দখলে! Jul 05, 2025
img
সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প বলল ‘মেট্রো ইন দিনো’ সিনেমা, দেখে নিন রিভিউ Jul 05, 2025
img
বিচ্ছেদ জল্পনার মাঝেই সোহেলের মায়ের জন্মদিন উদযাপনে অভিনেত্রী তিয়াসা! Jul 05, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান Jul 05, 2025
img
'বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না' Jul 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই নতুন সংবিধানে যুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
৩৬ জুলাইয়ে শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম : আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
ইসরায়েলকে সশস্ত্র বাহিনী বড় ধরনের শিক্ষা দিয়েছে: পেজেশকিয়ান Jul 05, 2025
img
গোলাম মাওলা রনি অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব Jul 05, 2025
img
৮ বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের ভুল স্বীকার অভিনেত্রী মিথিলার Jul 05, 2025
img
টানা ব্যর্থতার পর ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে সব আশা অভিনেত্রী সারার! Jul 05, 2025
img
ধোনি-সাক্ষীর বিবাহবার্ষিকী: পথচলার ১৫ বছর পূর্ণ! Jul 05, 2025
img
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের কাছে বারবার হোঁচট ভারতের Jul 05, 2025