প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি পালমেইরাস। তবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির কপাল পুড়েছে ম্যাচের শেষদিকে গোলরক্ষক ওয়েভের্টনের হাস্যকর ভুলে।
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার (৫ জুলাই) পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি।
পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা চেলসি এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দারুণ আক্রমণ চালিয়েছিল। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া কোল পালমারের জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিয়ে পালমেইরাসকে রক্ষা করেন ওয়েভের্টন। ১৬তম মিনিটে অবশ্য ওয়েভের্টন আর কোনো সুযোগ দেননি পালমার। ট্রেবহ চালোবার পাস বক্সের বাইরে দখলে নেন পালমার। এরপর দ্রুত বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডারকে প্রতিহত করে বাঁ পায়ের নিচু শটে জাল খুঁজে নেন।
আক্রমণে চেলসি একের পর এক আধিপত্য দেখালেও, ভালো লড়াই চালিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিও। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে বক্সে এস্তাভিওকে পাস দেন রিচার্ড রিওস। এক ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে দুর্দান্ত এক গোল আদায় করে নেন তিনি। তার কোণাকোণি শট বারের উপরের অংশে লেগে জালে জড়ায়। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ব্লুজ গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজের।
৭১তম মিনিটে লিডও প্রায় পেয়ে গিয়েছিল পালমেইরাস। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে পলিনহো বক্সে পাস দেন মাউরিসিওকে। তিনি গোলমুখে পাস দেন ভিতর রকির উদ্দেশে। শুধু পা ঠেকালেই গোল, এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা ডাইভ দিয়ে বল ক্লিয়ার করেন চেলসি ডিফেন্ডার লেভি কোলউইল।
৮৩তম মিনিটে ওয়েভের্টনের অদক্ষতায় গোল হজম করে পালমেইরাস। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে শট নেন মালো গুস্তো। ওয়েভের্টন গোল ঠেকাতে বাঁ দিকে কিছুটা হেলে পড়েন, তার সামনে ড্রপ খেয়ে গা ঘেঁষে ডান দিক দিয়ে বল জড়ায় জালে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পালমেইরাস। তাতে ২-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে চেলসি।
আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য আল হিলালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। নক আউট পর্বে ওঠা চার ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের মধ্যে কেবল তারা-ই এখন টুর্নামেন্টে টিকে আছে।
পিএ/টিএ