ইরান নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এ কথা বলেন।
ইরান সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গত মাসে মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘স্থায়ীভাবে’ পিছিয়ে গেছে।
তবে তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলার পর তেহরান নতুন স্থানে তাদের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে। ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিদর্শনের অনুমতি দিতে বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হয়নি বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনার পারমাণবিক কর্মসূচি ১ থেকে ২ বছর পিছিয়ে গেছে।
বুধবার (২ জুলাই) পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া তিন ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘আমরা অন্তত এক থেকে দুই বছর তাদের কর্মসূচি পিছিয়ে দিতে পেরেছি- গোয়েন্দা মূল্যায়ন এমনটাই বলছে।’
নতুন করে পরমাণু চুক্তির লক্ষ্যে ওয়াশিংটন-তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসের লক্ষ্যে গত মাসে (১৩ জুন) ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। এর এক সপ্তাহ পর ইসরাইলের সঙ্গে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত ২১ জুন মার্কিন বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাসহ তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে বোমা ফেলে।
ওইদিনই ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ‘শেষ’ করে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারাও একই দাবি করেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতি ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। পেন্টাগনের গোয়েন্দা শাখা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএর জানায়, ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে, ধ্বংস হয়নি।
পিএ/টিএ