রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের মেয়াদ আরো দুই বছর বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় এই সময় বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি হলেও এখনই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে না।
গত ২০ জুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
জানা যায়, মূল চুক্তিতে প্রথম ইউনিটের জন্য ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত সময় ছিল। আর দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদ ছিল। এখন নতুন চুক্তিতে প্রথম ইউনিটের জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর, দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য ২০২৭ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরমাণু শক্তি কমিশন সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেড় বছর বাড়ানোর অনুমোদন দেয়। এতে রাজি হয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে আরো ছয় মাস সময় বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়।
অবশ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, কারিগরি বিবেচনায় প্রকল্পের কাজ কোনোভাবেই আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়।
প্রকল্প পরিচালক মো. কবীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, নতুন করে দেরি হয়নি। এখন কাজ স্বাভাবিকভাবেই এগোচ্ছে। তবে অতীতে মহামারি ও যুদ্ধের কারণে দেরি হয়েছে। ফলে ঠিকাদার সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে উৎপাদন শুরু হবে।
রূপপুর প্রকল্পের খরচের জন্য বছরে বরাদ্দ অর্থের ১০ শতাংশ দিতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে তা-ও নিয়মিত পরিশোধ করা যায়নি। চুক্তি অনুসারে সময় বাড়লেও খরচ বাড়াতে পারবে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, সময়মতো উৎপাদন শুরু না হওয়ায় কেন্দ্রটি কোনো আয় করতে পারছে না। এতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালন ব্যয় মেটাতে হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়িয়ে দেবে।
আরআর/টিএ