গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন, টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল : রনি

সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, যা তার প্রতিপক্ষের নিকট রীতিমতো একটি রাক্ষসে নাম, একটি সুনামির নাম, একটি আতঙ্কের নাম, একটি ধ্বংসের নাম। এ কারণে ১৯৫৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সব সরকারের সময় চেষ্টা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইয়ুব খান, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান, ইন্দিরা গান্ধী সবাই এই চেষ্টা করেছেন। জিয়াউর রহমানও চেষ্টা করেছেন।

জিয়াউর রহমানের সময় থেকে আব্দুল মালেক উকিল, জোহরা তাজউদ্দীন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগে গ্রুপিং করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মদদে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা ছিল। ৪ থেকে ৫টি গ্রুপে বিভক্ত ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু নেতাকর্মীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়েনি।

‘শনিবার গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন! টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল! আ. লীগকে কবর দেওয়ার নীলনকশা!’ শিরোনামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক বিশ্লেষণে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আঁতুরঘর খ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন এবং পটুয়াখালীতে আমি মনোনয়ন পেয়েছিলাম। কিন্তু ফরিদপুরের ওই আসনে জাফর উল্যাহ চৌধুরী থাকায় দল আমাকে পটুয়াখালীতে মনোনয়ন দেয়। আমার কাছে মনে হয়, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চেয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন-ভাঙ্গা-সদরপুর এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা-দশমিনায় আওয়ামী লীগের প্রীতি অনেক বেশি।'

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার বিপদে পড়েছে। সেই বিপদ ’৫৪-এর মতো, ৭৯-এর মতো, ৭৫-এর মতো, ১৯৯১ সালের মতো, ১/১১-এর মতো।

এখন সবাই আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে যারা টার্গেট করছেন, তারা টার্গেট করছেন বড় জোর আওয়ামী লীগের শরীরকে। আওয়ামী লীগের ঘৃণিত লোকদের আক্রমণ করার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে প্রীতি আছে সেখানে আঘাত করতে পারছেন না। নৌকার জায়গায় অন্য কোনো প্রতীকের প্রলেপ দেওয়া যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন যদি টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করা হয়, যদি বঙ্গবন্ধুর মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়; তাতে কি আওয়ামী লীগ শেষ হবে? সেখানে কি ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান আসবে?’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে সকাল ১০টায় তাজিয়া মিছিল Jul 06, 2025
img
মাদারীপুরে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার Jul 06, 2025
img
ঢাকার বাতাস আজ সহনীয় Jul 06, 2025
img
লাহোরে ২৫ বছর পর অফিস বন্ধ করল মাইক্রোসফট Jul 06, 2025
img
সিভাসুর ১৯ জনকে হল থেকে বহিষ্কার, ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল Jul 06, 2025
img
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধারকারীরা Jul 06, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 06, 2025
img
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 06, 2025
img
পারমাণবিক সহযোগিতা স্থগিতের পর ইরান ছাড়লেন আইএইএ পরিদর্শকরা Jul 06, 2025
img
আজ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে ঢাকার আকাশ, হতে পারে বৃষ্টি Jul 06, 2025
img
শহীদ আব্দুল্লাহর অসুস্থ ভাইয়ের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান Jul 06, 2025
img
রাশিয়া - ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো চীন Jul 06, 2025
img
বিএনপির মনোনয়ন চান উপদেষ্টা সাখাওয়াতের ভাই Jul 06, 2025
img
পুরান ঢাকার হোসেনি দালান পরিদর্শন করলেন এনসিপি নেতারা Jul 06, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি Jul 06, 2025
img
নির্বাচন বিলম্বিত করতে কিছু মহল কাজ করছে: আব্দুস সালাম Jul 06, 2025
img
কোনো চাঁদাবাজকে ক্ষমতায় বসাতে ২৪ শে মানুষ জীবন দেয়নি : আখতার Jul 06, 2025
img
‘বিগ বিউটিফুল বিলে’ ট্রাম্পের সই Jul 06, 2025
img
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল রিকশা চালকের Jul 06, 2025
img
স্বমহিমায় ফিরছেন সেলিনা, শেষ হচ্ছে ১৪ বছরের বিরতি Jul 06, 2025