গ্রহণযোগ্য পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : জামায়াত নেতা

‘গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২৯ মাইল নতুনপাড়া এলাকায় একটি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের অংশ হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি। কিন্তু আমরা বলে আসছি, এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেটি আগে নিশ্চিত করতে হবে।

গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। এটাই দেশের আপামর জনতার দাবি।’

পথসভায় সংস্কার নিয়ে বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন তসবি জপছে। যেকোনোভাবে একটি নির্বাচন চাই, ক্ষমতার বদল চাই, ক্ষমতায় যেতে চাই—এ ধরনের স্বপ্নে তারা বিভোর। তারা যদি নির্বাচনের পাশাপাশি সংস্কার নিয়ে বেশি কথা বলত, যদি বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন না চাইত, তাহলে মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে সফল হলেও অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল, জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এখনো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি চলছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে এবং তাদের বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।’

জুলাই ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য শুধু একটি সরকারের পতন ঘটিয়ে আরেকটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ছিল না। বরং গত ১৫ বছরে রাষ্ট্র যেভাবে চলছিল, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে যেভাবে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলাই ছিল আন্দোলনের মূল স্পিরিট।’

পথসভা শেষে দেলাওয়ার হোসেন পার্শ্ববর্তী এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে হুইলচেয়ার প্রদান করেন এবং তার পরিবারের খোঁজখবর নেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহাম্মদ, সদর উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুর রশিদ, আব্দুল হালিম প্রমুখ।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

পাওয়ারফুল চারটি আমল Jul 06, 2025
১০ জনের দলে যৌন হয়রানি'-এনসিপিকে ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানার তীর্যক মন্তব্য Jul 06, 2025
img
স্বপ্নপূরণে শ্রীলঙ্কার কোকোনাট হিলে শবনম ফারিয়া Jul 06, 2025
জামানত হারানোর শঙ্কায় থাকা দলগুলোই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ Jul 06, 2025
img
হাসিনার পতনের পেছনে কাজ করেছে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ পলিসি: গোলাম মাওলা রনি Jul 06, 2025
img
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ Jul 06, 2025
img
বাহরাইনের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 06, 2025
img
পরীক্ষা শেষের ৭ দিনের মধ্যে হাজিরাপত্র জমা দিতে নির্দেশ দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় Jul 06, 2025
img
রাজধানীর খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল ২ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর Jul 06, 2025
img
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের গানে কণ্ঠ দিলেন হৈমন্তী শুক্লা! Jul 06, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপ সেমির টিকিটের অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়, ৪৭৩ ডলার থেকে নেমে ১৩ ডলার Jul 06, 2025
img
বল হাতে চমক, শামীম পাটোয়ারীর প্রশংসায় মিরাজ Jul 06, 2025
img
রাজনীতিতে ইলন মাস্কের আত্মপ্রকাশ, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’ Jul 06, 2025
img
লঙ্কানদের হারিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ Jul 06, 2025
img
মেসির জোড়া গোলে এমএলএস-এ বড় জয় মায়ামির Jul 06, 2025
img
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, উদ্ধার ৮৫০ Jul 06, 2025
img
‘কৃষ ৪’-এ ৩টি চরিত্রে দেখা যাবে হৃতিককে! Jul 06, 2025
img
যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি Jul 06, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার দাম Jul 06, 2025
img
তামিল সিনেমায় জমে উঠেছে থ্রিলারের রাজত্ব Jul 06, 2025