গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সাথে সম্ভাব্য আলোচনার জন্য কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। রোববার (৬ জুলাই) এই দলটিকে পাঠানোর কথা। খবর বিবিসির।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থাপিত প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনায় ইসরাইল রাজি হয়েছে। যদিও প্রস্তাবে হামাসের কয়েকটি পরিবর্তন আনার দাবিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে হামাসও প্রস্তাবটিতে ইতিবাচক সাড়া দেয়। শুক্রবার রাতে, হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে, একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস প্রস্তাবের সংশোধনী চেয়েছে, যার মধ্যে একটি গ্যারান্টিও রয়েছে। যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলে নতুন করে শত্রুতা আবার শুরু হবে না।
অন্যদিকে, গাজায় হামাস-পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারও ইসরাইলি হামলা ও গুলিবর্ষণ হয়েছে এবং এতে কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস যে পরিবর্তন আনতে চাইছে তা ইসরাইলের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
কিন্তু এতে আরও বলা হয়, ‘পরিস্থিতির মূল্যায়নের আলোকে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন যে, আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হোক এবং আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হোক। ইসরাইল যে কাতারের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে তার ভিত্তিতে আলোচনাকারী দল আগামীকাল চলে যাবে।’
কাতারের দোহায় পরোক্ষ আলোচনায় যে ফাঁকগুলো রয়েছে তা পূরণ করার জন্য মধ্যস্থতাকারীরা কাজ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেএন/টিকে