চেহারা নিয়ে কথা বলে ফের বিতর্কে জড়ালেন রাম কাপুর। এক সময় ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ, তারপর ওজন কমিয়ে রূপান্তরের নজির গড়েছেন। কিন্তু সেই পরিবর্তনের পর থেকেই যেন বদলে গেছে তাঁর কথাবার্তাও—এমনটাই বলছেন নেটপাড়া।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাম কাপুরস্মৃতি ইরানি সম্পর্কে এমন এক মন্তব্য করেছেন, যা ঘিরে তীব্র সমালোচনা চলছে। রাম বলেন, ‘‘পুরুষদের ক্ষেত্রে চেহারা ভারী হলে সফল হওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। যেমন আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। স্মৃতি অত ভারী চেহারার হওয়া সত্ত্বেও সাফল্য পেয়েছিলেন।’’
এই মন্তব্যে বডিশেমিং-এর অভিযোগ উঠেছে রামের বিরুদ্ধে। অনেকের মতে, স্মৃতি ইরানির চেহারাকে টেনে এনে তার সাফল্যকে খাটো করেছেন রাম কাপুর। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘রামের কি মনে হয় তিনি স্মৃতির চেয়ে ভাল অভিনেতা?’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘একে বডিশেমিং বলা হয়। নিজে ওজন কমিয়ে এখন খালি উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেন।’’
রাম নিজেও এক সময় ছিলেন বেশ স্থূলকায়। সে কথা স্মরণ করেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওঁর চেহারা আমার মতোই ছিল। মহিলা হয়েও সেই ওজন নিয়ে ও আমার চেয়েও বেশি সফল হন। তবে ও আগে অভিনয় জগৎ থেকে সরে যান।’’
এই মন্তব্য শুনে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে একজন পুরুষ সহকর্মী একজন নারীকে এভাবে প্রকাশ্যে অপমান করতে পারেন। কেউ আবার বলছেন, রামের এই ধরনের বক্তব্যের পেছনে রয়েছে ঈর্ষা কিংবা হীনম্মন্যতা।
স্মৃতি ইরানি বর্তমানে শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মঞ্চেও তার রয়েছে সুদৃঢ় অবস্থান। এমন একজন মহিলাকে শুধু তার চেহারার ভিত্তিতে বিচার করা কতটা যুক্তিসঙ্গত—এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রামের মন্তব্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে দর্শকদের একাংশ ইতিমধ্যেই তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। কেউ কেউ বলছেন, একজন শিল্পী যখন নিজের শারীরিক রূপান্তরকে অহংকারে পরিণত করেন, তখনই হারিয়ে যায় মানবিকতা।