মুম্বাই বিমানবন্দর যেন এক আবেগঘন দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকল। কালো পোশাকে ঢাকা, খোলা চুলে নোরা ফতেহিকে দেখা গেল গাড়ি থেকে নামতে। চোখে ছিল রোদচশমা, কিন্তু সেই চশমা আড়াল করতে পারেনি তাঁর কষ্টের ছাপ। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, ফ্যানের উল্লাস—সব কিছুর মাঝেই নোরা কাঁদতে কাঁদতে ঢুকে যান বিমানবন্দরের ভিতরে।
এই দৃশ্যে বিমর্ষ নোরার পাশে ছিলেন তাঁর দেহরক্ষী। মুখে কোনও কথা না বলেও চোখের ভাষাই বলে দিচ্ছিল, সব কিছু ঠিক নেই। ছবি তুলতে আসা এক অনুরাগী যখন সামনে চলে আসেন, তখন দেহরক্ষীর প্রতিক্রিয়া আরও স্পষ্ট করে দেয় যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।
এই ঘটনার আগেই নোরা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছিলেন— “ইন্না ইল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন।” এই ইসলামিক বাক্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় কারও মৃত্যুতে শোক জানাতে। ঠিক কী কারণে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন, সে বিষয়ে যদিও কিছু জানাননি। তবে অনুরাগীদের অনেকেই ধারণা করছেন, নোরা হয়তো কাছের কাউকে হারিয়েছেন।
সম্প্রতি নোরার ওয়েব সিরিজ ‘দ্য রয়্যালস্’ মুক্তি পেয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঈশান খট্টর, ভূমি পেডনেকর, জ়িনাত আমন, সাক্ষী তনওয়ার ও দিনো মোরিয়া। ঈশানের প্রাক্তন প্রেমিকার চরিত্রে নোরার অভিনয় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। সেই রঙিন জগৎ থেকে এক লাফে বাস্তবের এমন বেদনাবিধুর দৃশ্য—প্রশ্ন তুলছে অনেকের মনে।
এত সুন্দর করে ক্যামেরার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করা নোরার এই ভঙ্গুর মুহূর্ত যেন বলছে, তারকার জীবনেও থাকে এমন দিন, যেদিন রোদচশমা চোখের জল আড়াল করতে পারে না।
এসএন