গত ২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসান তিনি। তবে এই শুল্ক নিয়ে বিশ্ববাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তিন মাসের জন্য এটি স্থগিত করেন ট্রাস্প। যেসব দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয় সেসব দেশকে আলোচনার সুযোগ দেন তিনি।
আগামী ৯ জুলাই শুল্ক স্থগিতের তিন মাসের সময়সীমা শেষ হবে।
এপ্রিলে কিছু দেশের ওপর ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্কও আরোপ করেন। যা গত ১০০ বছরে কোনো বিদেশি দেশের পণ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপের ঘটনা ছিল। অর্থনীতিবিদরা ওই সময় বলেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে কয়েকটি নির্দিষ্ট নয় বিশ্বের সব দেশেই মন্দা দেখা দিতে পারে। ট্রাম্প গত ৯ এপ্রিল শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, সব দেশের পণ্যে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে।
ট্রাম্পের শুল্কের কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছিল, সেগুলো দ্রুতই পুষিয়ে নেয় তারা। তবে ৯ জুলাই থেকে আবারও শুল্ক আরোপ শুরু হলে সেসব অর্জন ফের ধুলিস্যাত হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্বের একাধিক দেশ তাদের সঙ্গে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছে। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছে। যারমধ্যে ভিয়েতনাম আছে। তবে সেটিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং চুক্তির বিস্তারিতও জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, অনেক দেশ সামনে নতুন নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই আবার বলেছেন, যেসব দেশ চুক্তি করেনি তাদের কাছে শুল্কের চিঠি পাঠাবেন তিনি। এতে বলা হবে, তাদের পণ্যে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এপ্রিলে যে দেশের ওপর যত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, ৯ জুলাই সেগুলোই আবার কার্যকর হবে। আবার শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
আবার ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, কিছু দেশের ওপর ৫০, ৬০ এমনকি ৭০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি।
অর্থাৎ ৯ জুলাই কী হতে যাচ্ছে সেটি নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতি এখন ওইদিনের দিকে চেয়ে আছে।