লিডসে দুর্দান্ত খেলার পরও পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ভারতকে। এবার তা হতে দেননি শুবমান গিল-লোকেশ রাহুলরা। এজবাস্টনে ৩৩৬ রানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন। এ জয়ে একটা অপেক্ষা ফুরিয়েছে এশিয়ার দলগুলোর।
এজবাস্টনের জয়টি এশিয়ার কোনো দলের প্রথম। জয়টি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ভারতের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৬ সালে লিডসে ২৭৯। আর সবমিলিয়ে ৪৩৪ রানের জয়টি আহমেদাবাদে গত বছর।
যেকোনো দলের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জয়ও এটি। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতায় ফিরেছে ভারত। ১-১ ড্রয়ের সিরিজের তৃতীয় টেস্ট আগামী ১০ জুলাই, ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে।
ঘরের মাঠে জিততে হলে রানের পাহাড় টপকাতে হতো ইংল্যান্ডকে।
৬০৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করাটা যে অসম্ভব ছিল তা দিন শেষ হওয়ার আগেই প্রমাণ করলেন ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেওয়া আকাশ দীপ। ২৮ বছর বয়সী পেসারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জ্যাক ক্রলি-জো রুটরা। ইংল্যান্ডের প্রথম ৫ ব্যাটারের ৪টিই নিয়েছেন তিনি। পরে আরো দুই উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন।
৯৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে। দুই ইনিংসে মিলিয়ে প্রথমবার টেস্টে ১০ উইকেট পেয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জেমি স্মিথ (১৮৪*) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটুকু কমিয়েছেন। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। এর আগে প্রথম ইনিংসে স্মিথ ও হ্যারি ব্রুকের (১৫৮) সেঞ্চুরিতে ৪০৭ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে রেকর্ড বইয়ে দেওয়া গিলের ২৬৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ভারত ৫৮৭ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকান ভারতীয় অধিনায়ক। ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন গিল। তার ইনিংসে ভর করেই পরে ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। নিজের অধিনায়কত্বের প্রথম জয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন গিল।
ইউটি/এসএন