কথাতেই আছে, ধীরে চলো, কিন্তু ধরে চলো, সাফল্য আসবে। আরও সহজ করে বললে ইংরাজির সেই ‘প্রোভার্ব’, ‘স্লো বাট স্টেডি অলওয়েজ উইনস দ্য রেস’। বক্স অফিসে যে কোনও সিনেমার ব্যবসার গ্রাফটা ঠিক তেমনই। শুরু থেকে যে সব ফিল্ম ধীরে এগোতে থাকে, দিনশেষে তারাই মোটা অঙ্কের লাভ ঘরে তোলে। যেমনটা হল ১৮ বছর পর পর্দায় ফিরে আসা অনুরাগ বসুর ‘মেট্রো’ ম্যাজিকের। বক্স অফিসের অঙ্ক বলছে, ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’র সামগ্রিক রোজগার ছিল, ‘মেট্রো ইন দিনো’ তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সপ্তাহান্তে রীতিমতো কেল্লাফতে! তবে হ্যাঁ, সেই হিসেবে সিনেমার ব্যবসার গতি ধীর।
২০০৭ সালে এক শহরের কয়েকটা জীবনের গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল অনুরাগ বসুর ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’। চার যুগলের প্রেম, প্রেমহীনতা, সম্পর্ক, সম্পর্কে জটিলতার সেই কাহিনী মেট্রোসিটির বহু সিনেপ্রেমীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। এখন, ১৮ বছরের ব্যবধানে স্থান-কাল-পাত্র প্রায় সবেতেই বিশাল বদল এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রুপোলি পর্দায় আধুনিকতার মোড়কে চিরায়ত প্রেমের গল্প বুনতে আজও অনুরাগের জুড়ি মেলা ভার। আর তাই, ২০২৫ এ তাঁর সৃজন ‘মেট্রো ইন দিনো’। সমসময়ের বিভিন্ন বয়সী চার যুগলের গল্প। ঠিক সিক্যুয়েল নয়, বলা ভালো গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায়। তুলনা চলে না, তবু তুলনা এসেই পড়ে। কোন সিনেমা কত ব্যবসা করল, তার প্রতিযোগিতাও শুরু হয় অবধারিতভাবেই।

আর সেই ব্যবসার হিসেব বলছে, ‘মেট্রো ইন দিনো’ গত ৪ জুলাই মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহান্তে তার আয় ১৬.৭৫ কোটি টাকা। যেখানে ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ সাত সপ্তাহ ধরে সিনেমাহলে রমরমিয়ে চলার পর ঝুলিতে এসেছিল ১৫.৮৩ কোটি। বলা হচ্ছে, বড় আয়ের পথে অনুরাগের সিনেমার এটা একটা ছোট্ট লাফ। তবে বক্স অফিসের এই অঙ্ক দেখে মুখ বাঁকাচ্ছেন নিন্দুকরা। দুটি ছবির তুলনামূলক সমালোচনা তো চলছেই। তার সঙ্গে তাঁদের সংযোজন, ১০০ কোটি বাজেটের সিনেমা প্রথম সপ্তাহান্তে ১৬.৭৫ কোটি ‘কামাই’ আর কী এমন?
পিএ/এসএন