রাউজানে বোরকা পড়ে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

চার-পাঁচজন বোরকা পরা একটি অটোরিকশা থেকে এদিক–ওদিক হাঁটাহাঁটি করে আবার আরেকটি অটোরিকশায় উঠছেন তারা। মুখে সবারই মুখোশ পরা। এর পরেই পাহাড়ি পথের দিকে হাঁটেন। চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যার পর এভাবেই চলে যেতে দেখা যায় সন্ত্রাসীদের। পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভিতে তাই ফুটে উঠে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা মামলার সাহস পাচ্ছেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।

রোববার (৬ জুলাই) দুপুরের দিকে আত্মীয়ের জানাজার নামাজ পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ইশান ভট্টের হাটে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা মুহাম্মদ সেলিমকে। তিনি কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

রাজনৈতিক ও নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা পারে বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। সন্ত্রাসীদের বহনকারী সিএনজিচালিত এক অটোরিকশার চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তেমন কোনো তথ্য তাঁরা জানতে পারেনি। হত্যার ঘটনায় সাত থেকে আটজন অংশ নেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। তবে তাঁদের কাউকে আটক করাও সম্ভব হয়নি।

হত্যার ঘটনার ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা এবং মুখোশধারী সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসীকে কদলপুর ইশান ভট্টের হাট হয়ে ভোমরপাড়া হজরত আশরাফ মাজারের ফটকে একটি অটোরিকশা থেকে অস্ত্রহাতে নামতে দেখা যায়। পরে সেখান থেকে আরেকটি অটোরিকশা পাল্টে প্রকাশ্যে হজরত আশরাফ শাহ মাজার সড়ক ধরে পাহাড়ি এলাকার দিকে যেতে দেখা যায়। সশস্ত্র এসব ব্যক্তিকে দেখে পালাতে দেখা যায় আশপাশের লোকজনকে।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে এবং আজ ভোর থেকে পাহাড়ি এলাকার সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করছে, এ কারণে তাঁদের ধরা যাচ্ছে না।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সেলিমকে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তিন চারজন খুনিকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাঁদের একজন সন্ত্রাসী মুহাম্মদ রায়হান। রায়হান ৫ আগস্টের পর তাঁর নিজ এলাকা রাউজান সদর ও কদলপুরে একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়ান বলে জানান তিনি।

এফপি/ টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুলিশের সম্মানে ভাঙ্গায় আধা ঘণ্টা আগে সড়ক ছাড়ল আন্দোলনকারীরা Sep 14, 2025
img
জেফারসন-উডেন বিশ্বের দ্রুততম মানবী, দ্রুততম মানব অবলিক সেভিল Sep 14, 2025
img
শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদুল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ তারেক রহমানের Sep 14, 2025
img
ভারত থেকে দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার আ.লীগের সাবেক এমপির ছেলে Sep 14, 2025
কাজা নামাজ যেভাবে পড়বেন | ইসলামিক টিপস Sep 14, 2025
'ভারত ছড়ি ঘোরাবে পাকিস্তানের উপর': শোয়েব আখতার Sep 14, 2025
শুল্কজট পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি Sep 14, 2025
img
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজিতে ফারিয়া সহ কারাগারে ৩ Sep 14, 2025
আওয়ামী লীগ আমলে বানোয়াট মামলার শিকার হাজারো নেতাকর্মী Sep 14, 2025
৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Sep 14, 2025
ভবিষ্যতে বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন জুমা, জানালেন নিজেই Sep 14, 2025
img
ইসির শুনানিতে অংশ নিলো প্রায় ১ ডজন রাজনৈতিক দল Sep 14, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে বৃষ্টিবলয় কবে থামবে? Sep 14, 2025
img
জুলাই সনদের ভিত্তিতে হলেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: জামায়াত Sep 14, 2025
img
নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত Sep 14, 2025
img
কলকাতায় রাতের সৌন্দর্যে প্যারিসের ছোঁয়া Sep 14, 2025
img
‘ব্যাড্স অব বলিউড’ এর চমক নিয়ে আসছে তামান্না ভাটিয়া! Sep 14, 2025
img
ইউরোপীয় ৩ দেশকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি Sep 14, 2025
img
রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৯৬ মামলা Sep 14, 2025
img
লালনের গানে বিপ্লব এনেছিলেন ফরিদা পারভীন Sep 14, 2025