নিজের বয়স ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেফালী জরীওয়ালা। সেই কারণে খেতেন মুঠো মুঠো ওষুধ। শেষ পর্যন্ত নিজেকে সুন্দর রাখার ইচ্ছাই প্রাণঘাতী হল তাঁর জন্য। এ বার গায়িকা নেহা ভাসিন জানালেন নিজের কথা। মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। কারণ, তাঁকে মোটা বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এমনকি, বলা হয় স্থূলকায় শরীরের জন্য টিভির পর্দায় আনা হবে না তাঁকে। এমন প্রত্যাখ্যান পেয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি নেহা। বাড়ি ফিরে দু’বোতল ফ্যাট কাটার খেয়ে নেন। তাতেই বিপত্তি! দু’দিন জ্ঞান ছিল না তাঁর। সেটাই নাকি ছিল নিজেকে শেষ করে দেওয়ার প্রথম চেষ্টা। এখানেই শেষ নয়। মাসে ১৫ দিন এখনও বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না তিনি।
প্রায়ই পোশাক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নেহা। গায়িকার পেশায় থাকা সত্ত্বেও তিনি খোলামেলা পোশাক পরে কী ভাবে ঘুরতে পারেন, তা নিয়ে নেহাকে কটাক্ষ করেন নেট ব্যবহারকারীরা। এমনকি, পোশাকের কারণে তাঁকে পর্ন তারকার সঙ্গেও তুলনা করেছেন অনেকে। যদিও নিজের কথা বলতে ভয় পান না নেহা। ন’বছর বয়সে নেহার ইচ্ছা হয় পপস্টার হওয়ার। খুব অল্প বয়সে মেয়েদের নিয়ে একটি গানের ব্যান্ড খোলেন নেহা। এই ব্যান্ডের প্রথম কনসার্টে ৫০ হাজার শ্রোতা জমায়েত হয়েছিল। কোনও ব্যান্ডের প্রথম কনসার্টে এত জন শ্রোতার উপস্থিতিতে নজির গড়েছিল নেহার ব্যান্ড।
কিন্তু নেহার গান মিউজ়িক ভিডিয়ো আকারে প্রকাশ করতে চাননি এক চ্যানেলকর্তা। নেহার কথায়, ‘‘আমাকে গ্রিন রুমের বড় টিভিতে দেখিয়ে বলা হয়, আমি মোটা। টিভিতে দেখতে ভাল লাগবে না।” এই কথা শুনেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও নেহার দাবি, সেই সময় তাঁর ওজন ছিল ৫০ কেজি। তবে শরীর নিয়ে বরাবর ভুগতে হয়েছে তাঁকে। বছর তিনেক আগে জানতে পারেন, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁর। যার ফলে মাসে ১৫ দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না। গান গাওয়া তো দূরঅস্ত। আর নেহা জানান, ২০২২ সাল থেকে তাঁকে বিভিন্ন সময় নানা কড়া ওষুধ খেতে হয়। সেই কারণে তাঁর ওজন বাড়তেই থাকে।
এসএন