তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আইন ও ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য গাজীপুর, আশুলিয়া, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জে জোনভিত্তিক শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে কারখানাগুলোর শ্রম সংক্রান্ত সমস্যাগুলো স্ব স্ব এলাকার মধ্যেই সমাধান করা যাবে।
সোমবার (৭ জুলাই) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত নন-আইবিসি শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এসময় বিজিএমইএ’র সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, পরিচালক আসেফ কামাল পাশাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা ও পোশাকখাতে স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিশেষ করে কারখানাগুলোতে যাতে করে আইন-বহির্ভূত দাবি ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শ্রমিকরা যেন আশেপাশের কারখানাগুলো ভাঙচুর না করে অথবা দাবি আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষদের জন্য ভোগান্তি বয়ে না আনে, সে ব্যাপারে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে আইবিসি বহির্ভূত শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর নেতৃবৃন্দকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মাহমুদ হাসান খান আরো জানান, তার বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলে শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখিত এলাকাগুলোতে সরকার জমি বরাদ্দ দিলে বিজিএমইএ তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, শ্রমিক ভাইবোনদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য তাদের জন্য ফুড রেশনিং ব্যবস্থা নিয়েও তার বোর্ড খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে।
মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ-এর লেবার আরবিট্রেশন সেলের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করা হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা বিজিএমইএ সভাপতির এই প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এফপি/ টিএ