জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, যারা সংস্কার পিছিয়ে দিচ্ছে তারাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। নতুন করে একটি দল মুজিবাদের পাহারাদার ও ঠিকাদারি নিয়েছে।
সোমবার (০৭ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাবনার আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপির একভাই আজকে টকশোতে বলেছেন, বসুন্ধরাকে নিয়ে কথা বলায় নাকি তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ভয় পেয়েছেন। আমরা জানতে চাই বাংলাদেশের রাজনীতি কাদের কাছে বর্গা দেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজনীতি বসুন্ধরা ও এস আলমের কবল থেকে বের করে আনতে হবে। আমাদের রাজনীতি ধর্ষণকারীদের কবল থেকে বের করে আনতে হবে। লুটকারীদের কবল থেকে বের করে আনতে হবে। বসুন্ধরা ও এস আলমকে বাংলাদেশের রাজনীতিকে বর্গা দিয়ে দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের লোকজন মিছিল করত তখন ছাত্রলীগ হামলা করেছে। শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে, আওয়ামী লীগ যখন দিনের ভোট রাতে করত তখন এক দলদাস ১০০/২০০ জনের নামে হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দিতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে অনেক মিডিয়ার ভাইয়েররা আছেন নিরলসভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেশাদারিত্বের সঙ্গে করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনাদের মতো দলদাস বসুন্ধরার জন্য সব সাংবাদিকের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে আটকাতে পারবেন না। আমরা মিডিয়ার সংস্কার করেই ছাড়ব।
দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, মিডিয়াকে মাফিয়াতন্ত্রমুক্ত করেই ছাড়ব। আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চাই।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছেন। বাংলাদেশের আকাশে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। আমরা নাকি নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাই। যারা সংস্কার পিছিয়ে দিচ্ছে, তারাই নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চাওয়া মানে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত বলেন, নিজ ঘর থেকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হোক। তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই। সত্যকে সত্য বলতে হবে। আপনার ইনকাম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পরবর্তী দেশ আমাদের বিনির্মাণ করতে হবে। আমাদের ভারতের ষড়যন্ত্র নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র থেকে সচেতন থাকতে হবে।
একটি দল অভ্যুথানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা হলো মুজিববাদের পাহারাদার। যারা বলছে অভ্যুথানের ভিত্তি নাই তারা আসলে মুজিববাদের ঠিকাদারি নিয়েছে। আপনাদের ঘোষণা পত্র লাগবে না? আপনাদের ঘোষণা পত্র লাগবে না? আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে দ্বিতীয় বাংলাদেশের ঘোষণা পত্র পাঠ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/টিকে