পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা কারাবন্দি ইমরান খান দেশব্যাপী আবারও প্রতিবাদের পরিকল্পনা করছেন। এ কথা জানিয়েছেন পিটিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আদিয়ালা কারাগারে তিনি ইমরানের সাথে দেখা করেন।
আগামী ৫ আগস্টকে ঘিরে ইমরান খানের ঘোষিত আন্দোলন নিয়েই কথা হয় দু নেতার মধ্যে। ৫ আগস্ট একাধিক মামলায় তার কারাবাসের দ্বিতীয় বছর উপলক্ষে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতি অনুসারে, ইমরান খান যেকোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, সংলাপের সময় শেষ হয়ে গেছে।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, দেশের স্বার্থে, আমি বারবার আলোচনার কথা বলেছি, কিন্তু এখন আলোচনার সময় চলে গেছে। ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনীর পর আদালতের কাছ থেকে আমাদের যে ন্যায়বিচারের আশা ছিল তা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে। তাই এখন দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি পাকিস্তানি জাতিকে এই অনাচার থেকে বের করে আনতে পারে না।
যদিও তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে এবং তার পক্ষে অন্য কারও পোস্টে তার অ্যাক্সেস নেই।
এতে আরও বলা হয়, ‘এই সপ্তাহে দেশব্যাপী আন্দোলনের সম্পূর্ণ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। ৫ আগস্ট, আমার অন্যায্য কারাবাসের ২ বছর পূর্ণ হবে। এই দিনটি হবে আমাদের দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি। এখন কারও সাথে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না।
কেবল রাস্তায় বিক্ষোভ হবে যাতে জাতি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়া পুতুল শাসকদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে।’
এদিকে, কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ব্যারিস্টার গোহর নিশ্চিত করেছেন যে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ জনগণকে ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া একটি শান্তিপূর্ণ কিন্তু শক্তিশালী প্রতিবাদ অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
অন্যদিকে, ইমরান খানের বোন, আলিমা খানও কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি তার ভাইয়ের ঘোষিত প্রতিবাদ আন্দোলন সম্পর্কেও কথা বলেন, দাবি করেন যে পুরো পরিবার এই আন্দোলনের অংশ হবে।
সূত্র: ডন
এমআর/এসএন