আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণে কোনো ক্ষতি নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৯ জুলাই) একাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণে কোনো ক্ষতি নেই। ভালো পরামর্শগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অডিট ও হিসাব ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যারা দায়িত্বে আছেন, সবার আগে তাদেরই স্বচ্ছ হতে হবে।
তবে বেশিরভাগ সময় হিসাবরক্ষকদের প্রতিবেদন মানসম্পন্ন হয় না বলেও অভিযোগ করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির উন্নতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সততাও প্রয়োজন।
এদিকে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন (অডিট রিপোর্ট) স্বচ্ছ না হলে সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন কঠিন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট কোয়ালিটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। অডিট টিম প্রফেশনাল, তারা সঠিক চিত্র তুলে ধরছে। কিন্তু কোম্পানিগুলোর অডিট মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। এটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সঠিক অডিটের অভাবে শেয়ারবাজারেও প্রভাব পড়ছে।’
ব্যাংকগুলো এনপিএলের সঠিক তথ্য দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের দেয়ার তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। ব্যাংকখাতে করপোরেট সুশাসনের ঘাটতি আছে। এটা উন্নত করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন রিভিউ করবো। সবাইকে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। না হলে টিকে থাকা কঠিন হবে।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৫ বছরের আর্থিক খাতের লুটপাটের কোনো বিচার করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
এমআর/এসএন