বলিউডের গ্ল্যামারের আড়ালে থাকা তীব্র প্রতিযোগিতা, রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন সুরকার অমাল মালিক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, শুধু সুশান্ত সিংহ রাজপুত নয়, তাঁর মতোই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন আরও বহু প্রতিভাবান শিল্পী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম অরিজিৎ সিংহ।
অমালের মতে, সুশান্তের মৃত্যুর পর মানুষ বলিউডের ভিতরের অন্ধকার দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হয়েছেন। দর্শকের চোখ খুলে গেছে। আর এই সিস্টেমের শিকার হতে পারেন এমনই একজন হলেন কার্তিক আরিয়ান। তাঁর প্রতিও ইন্ডাস্ট্রির নির্দিষ্ট মহল ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে মনে করেন অমাল।
এই প্রসঙ্গে অমাল বলেন, অরিজিৎ সিংহ যেমন শ্রোতাদের হৃদয়ে রাজ করছেন, তেমনই তাঁকেও বারবার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অমালের কথায়, অরিজিৎ হলেন এমন একজন শিল্পী যিনি গান ছাড়া আর কিছু বোঝেন না। তাঁর গলায় যে আবেগ, তা ভোলার নয়। অথচ এই শিল্পীকেও বলিউডে পেছনে টানার চেষ্টা হয়েছে।
‘সুরজ ডুবা হ্যায়’, ‘রোকে না রুকে নয়না’র মতো সুপারহিট গানে অরিজিৎ-এর সঙ্গে কাজ করেছেন অমাল। তিনি বলেন, অরিজিৎ একজন নির্লোভ শিল্পী, যিনি কখনও নিজের সাফল্য নিয়ে বড়াই করেন না, অন্যের গান ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করেন না। তাঁর মতে, আজকের দিনে ভারতীয় সঙ্গীতপ্রেমীদের শিরা-উপশিরায় মিশে আছে অরিজিৎ-এর কণ্ঠ।
অমালের মতে, সঙ্গীতজগতে কেউ কেউ চেয়েছিল অরিজিৎ যেন আর না এগোতে পারেন। কিন্তু ভাগ্যের জোর আর ঈশ্বরের আশীর্বাদে তিনি সেই সব বাধা পেরিয়ে এখন দেশের সর্বাধিক শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন।
অরিজিৎ সিংহের গান বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে এক অনন্য সততা। অমালের কথায়, কোটি টাকা পেলেও যদি গান পছন্দ না হয়, অরিজিৎ সেটি ফিরিয়ে দেন। তাঁর কাছে গানই প্রধান, আর সেই নিষ্ঠা নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন।
এই সাক্ষাৎকারে অমাল আরও বলেন, তাঁরা কেউই অর্থে বিক্রি হওয়ার লোক নন। বলিউডের অর্থকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও, সত্যিকারের শিল্পী হয়ে ওঠার সংগ্রাম তাঁদের ভেতর থেকে এক করে দেয়।
অরিজিৎ সিংহ এখন শুধু এক কণ্ঠশিল্পীর নাম নয়, এক জীবন্ত উদাহর, কীভাবে প্রতিকূলতার মাঝেও শিল্পী হয়ে ওঠা যায়।
এসএন