অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ দুজনের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালতে রাশিদা আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেন।বিষয়টি নিয়ে অবশেষ মুখ খুললেন ডিপজল।
ডিপজল বলছেন, একজন নারী ভক্তকে ব্যবহার করে এমন মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ডিপজল বলেন, “একজন পাগল ভক্তের কর্মকাণ্ড পুঁজি করে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন! আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন।”
অসহায়ত্বের কথা বলে বিভিন্ন সময় ডিপজলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই নারী। তা উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, “এই নারী দুটি বাচ্চা নিয়ে এফডিসি থেকে তার স্বামী নেই বলে অসহায়তার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
পরে মাঝে মাঝে এসে কান্নাকাটি করে ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। অনেকবারই এফডিসিতে দেখা হয়েছে, যার ভিডিওগুলো আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবেন।”
ডিপজল বলেন, “ওই নারীর বক্তব্য মতে, ২০২৫ সালের জুনের ২ তারিখে হাটে দেখা হয়েছে বলে সাক্ষাৎকারে বলেছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা—ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাবে।
গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশনকে হাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার সব কাগজপত্র প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে। হাট বুঝিয়ে দেওয়ার ২ মাস পর আবার কেন হাটে যাব? ২ জুন মহিলাটি হাটে এসে কী করেছিল, সেটির ভিডিও ফুটেজও রয়েছে, যা আপনারা দেখতে পাবেন। হাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পাওয়া যাবে।”
সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ডিপজল বলেন, “এখন মহামান্য আদালতকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচার করবেন। যারা এই নারীকে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে, তাদেরও প্রকাশ্যে আনবেন।
এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২ জুন রাজধানীর কোরবানির গরুর হাটে অভিনেতা ডিপজলের আগমনের কথা শুনে তার ভক্ত হিসেবে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তখন ডিপজল তার পিএসকে বলে, “এই মহিলা এখানে কীভাবে ঢুকল, বের কর এখান থেকে।”
পরে ডিপজলের পিএসসহ সেখানে থাকা ৮ থেকে ১০ জন শারীরিকভাবে হেনস্তা, মারধর করে রশি দিয়ে টেনে বের করে দিতে চায়। ভুক্তভোগী আহত অবস্থায় বলেন, “আমাকে ছাড়, আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে বিচার দেব।’ তখন পিএস বলে, ‘ভেতরে গেলে ডিপজল ভাই তোকে খুন করে ফেলবে। ওকে এভাবে মারলে মনের জিদ কমবে না।”
এজাহারে বাদী আরো বলেন, পিএসের নির্দেশে একজন ভেতর থেকে একটা ছোট গ্যালন নিয়ে আসে। পরে সে গ্যালনটি বাদীর ঘাড়ের দিকে ঢেলে দেয়। বাদী যন্ত্রণায় কান্না করতে করতে বাসায় যান। পরে ৪ থেকে ১১ জুন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। ১২ জুন মামলা করতে গেলে ডিপজলের পিএস কল দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন বলেও উল্লেখ করেন।
এমআর/এসএন