রণবীর সিংয়ের জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছিল বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা 'ধুরন্ধর'-এর টিজার। মুক্তির পর থেকেই তা ঝড় তোলে সোশাল মিডিয়ায়। টিজারের প্রতিটি দৃশ্য যেন উত্তেজনার নতুন ছন্দ। কিন্তু এর মাঝেই সামনে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য—যে দৃশ্যগুলোতে পাকিস্তান দেখানো হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই আসলে শ্যুট হয়েছে থাইল্যান্ডে।
প্রথম দেখায় বোঝার উপায় নেই। কারণ, প্রতিটি লোকেশন এতটাই নিখুঁতভাবে পাকিস্তানের আবহ তৈরি করেছে যে অনেকেই ভেবেছেন টিম ‘ধুরন্ধর’ সত্যিই পাকিস্তানে গিয়ে শ্যুট করেছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং সীমান্তসংক্রান্ত জটিলতার কারণে পাকিস্তানে গিয়ে শ্যুটিং করার অনুমতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সেজন্যই নির্মাতারা বেছে নিয়েছেন থাইল্যান্ডকে—যেখানে একদিকে আধুনিক শহর, অন্যদিকে গ্রামীণ সৌন্দর্য। সব মিলিয়ে পাকিস্তানি আবহ তৈরি করতে পেরেছে নির্মাতারা।
থাইল্যান্ড সরকারের তরফ থেকেও প্রযোজনা সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে পূর্ণ সহায়তা। নির্মাতা আদিত্য ধর-এর নেতৃত্বে পুরো টিম পাকিস্তানের আভাস ধরে রাখার জন্য খুঁটিনাটি জায়গায়ও রেখেছে নজর। সিনেমার প্রোডাকশন ডিজাইনাররা থাইল্যান্ডের রাস্তাঘাট, বিল্ডিং এমনকি স্থানীয়দের পোশাক ও গাড়ির ধরন পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে মিলিয়ে সাজিয়েছেন। সেই রূপটাই দর্শকরা টিজারে দেখছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, থাইল্যান্ড বলিউডের কাছে বহু বছর ধরেই প্রিয় লোকেশন। এক থা টাইগার, স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার, হাউসফুল ২, বাঘি ২, এমনকি হলিউডের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’, ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’-এর মতো ছবিও শ্যুট হয়েছে থাইল্যান্ডে। পাকিস্তানের পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে থাইল্যান্ড যেন এখন নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ।
‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটিতে রণবীর সিং ছাড়াও রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রামপাল, আর মাধবন, অক্ষয় খান্না ও সারা অর্জুন। প্রযোজনায় জিও স্টুডিওস ও বি৬২ স্টুডিওস। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৫। স্পাই থ্রিলার আর ঐতিহাসিক গল্পের মিশেলে ‘ধুরন্ধর’ হয়ে উঠছে বছরের অন্যতম চর্চিত সিনেমা। আর থাইল্যান্ড যেন এ সিনেমায় পর্দার আড়ালে থেকেও হয়ে উঠছে গল্পের অদৃশ্য নায়ক।
এসএন