১৩ বছর, ৫৯৭ ম্যাচ, ৪৩ গোল, ৯৫ অ্যাসিস্ট ও রেকর্ড ২৮টি শিরোপা জয়। এই অবিশ্বাস্য যাত্রা শেষে রিয়াল মাদ্রিদে লুকা মডরিচ অধ্যায় শেষ।
৩৯ বছর বয়সী এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার এবার বিদায় বললেন লস ব্লাঙ্কোদের। এই কিংবদন্তি শেষবারের মতো মাঠে নামলেন ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে।
শেষ ম্যাচটা অবশ্য স্মরণীয় ছিল না মডরিচের। ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ভরাডুবির ম্যাচেই শেষ হয় রিয়াল অধ্যায়।
ক্যারিয়ারে এই ম্যাচটা হযতো ভুলে যেতে চাইবেন মডরিচ। তবে কিংবদন্তি মিডফিল্ডারের রিয়াল ক্যারিয়ার কোনোভাবেই ভুলে যাওয়ার মতো নয়!
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো বললেন, ‘শেষটা তিক্ত হলেও, মডরিচ চিরস্মরণীয়।
তিনি ফুটবল কিংবদন্তি, রিয়াল মাদ্রিদে তার অবদান অমর হয়ে থাকবে।’
২০১২ সালে টটেনহাম থেকে রিয়ালে যোগ দেন মডরিচ। এরপরের ১৩ বছরে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে। ছয়টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, সমান ক্লাব বিশ্বকাপ, চারটি লা লিগাসহ মোট ২৮টি ট্রফি জিতে রিয়ালের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়ে পরিণত হন তিনি।
বিদায়ি ম্যাচের পর তিনি বললেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে দেওয়ার স্বপ্ন ছিল, তবে যা কিছু পেয়েছি তা কল্পনারও বাইরে। এই ক্লাবে খেলা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি জানি এই মুহূর্ত আসবে, যদিও এটা আমি চাইনি। কিন্তু জীবন এবং ফুটবলে সব কিছুর শুরু আছে, শেষও আছে।’
২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলেছিলেন মডরিচ।
একই বছর মেসি-রোনালদোর আধিপত্য ভেঙে পরেছিলে ব্যালন ডি’অর মুকুট। এর পর কেটে গেছে আরো সাত বছর।
এই সাত বছরে অর্জনের ঝুলিতে আরো অনেক পালক যুক্ত হয়েছে। মডরিচ নেতৃত্ব দিয়েছেন রিয়ালের মাঝমাঠের। যদিও বয়সের কারণে গত কয়েক মৌসুমে রিয়ালের মূল একাদশে সুযোগ কমেছে। চুয়োমেনি, ভালভার্দে ও কামাভিঙ্গাদের মতো তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাতে কী!
রিয়ালের মাঠে ও ড্রেসিংরুমে নেতা হিসেবে মডরিচ গুরুত্ব হারাননি কখনো। রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছেন, ‘মডরিচ সবসময় রিয়াল মাদ্রিদের মূল্যবোধের প্রতীক হয়ে থাকবেন। তার ফুটবল সারা বিশ্বে মাদ্রিদিস্তা ও ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে।’
রিয়াল অধ্যায় শেষ হলেও, মডরিচের ফুটবল যাত্রা এখনো শেষ হয়নি। আগামী মৌসুমে ইতালির ক্লাব এসি মিলানের জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি।
চল্লিশের কোটায় গিয়ে আরেক অধ্যায় শুরু করবেন এই কিংবদন্তি।
এমআর/এসএন