২০২৪ সালে যখন গোটা ভারত উত্তাল "পুষ্পা ২" ঘিরে, তখন বাংলার ছবি ‘খাদান’ যেন নীরবে বাজিমাত করল নিজের মাঠেই। দেব এবং যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত, সুজিত রিণো দত্ত পরিচালিত এই কয়লাখনি-ভিত্তিক রাজনৈতিক থ্রিলার শুধু জনপ্রিয়তাই পায়নি, বরং বাংলা সিনেমায় একটি নতুন ঘরানার সূচনা করেছে। আর ছবির ক্লাইম্যাক্সেই ছিল চমক — ফিরছে ‘খাদান ২’!
পরিচালক এবং প্রযোজক সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্রে যা জানা যাচ্ছে — এখনই শুরু হয়েছে সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা। গল্পের ক্যানভাস বড় হচ্ছে, চরিত্রে যোগ হচ্ছে নতুন মোড়। ‘খাদান’-এর মতো বাস্তবধর্মী রাজনৈতিক-অ্যাকশন ঘরানায় ফের একবার দেবকে দেখার অপেক্ষায় দর্শক।
প্রথম কিস্তিতে মধু আর মোহন দাসের দ্বৈরথ, কয়লাখনি ঘিরে সিন্ডিকেট রাজনীতি, পুলিশ ও মিডিয়ার লড়াই—সব মিলিয়ে ‘খাদান’ হয়ে উঠেছিল এক নিঃশ্বাসে দেখা গল্প। এবার সিক্যুয়েলে সেই যুদ্ধ আরও জটিল হতে চলেছে। দেবের চরিত্র মধু যেখানে নতুন এক সংকটে পড়বে—পরিবার বনাম শক্তির লড়াইয়ে।
ইতিমধ্যে প্রাথমিক পরিকল্পনায় উঠে এসেছে কিছু সম্ভাব্য কাহিনি—মধু-লতির সন্তানের আগমন, মোহন দাসের অদৃশ্য থাকা অবস্থায় কোলিয়ারি অঞ্চলে নতুন অপরাধচক্রের উত্থান, রাজনৈতিক নারী চরিত্রের সংযোজন এবং সাংবাদিকতার এক নতুন রূপ।
এখনো চিত্রনাট্য সম্পূর্ণ হয়নি, তবে শুরু হয়ে গেছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ। নির্মাতারা চাইছেন ‘খাদান ২’ যেন প্রথম ছবির সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। আর এই ধারাবাহিকতায় যেভাবে বাংলা ফিল্মে বাস্তব, রাজনীতি আর থ্রিলারের সংমিশ্রণ ঘটানো হচ্ছে, তাতে অনেকেই বলছেন—‘খাদান’ ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে উঠতে পারে বাংলার নিজস্ব KGF।
দেব এখন ব্যস্ত একাধিক প্রজেক্টে—‘ধূমকেতু’, ‘রঘু ডাকাত’, ‘প্রজাপতি ২’। তাই ‘খাদান ২’-এর শুটিং শুরু হতে পারে ২০২৬ সালের প্রথম ভাগে। মুক্তির সময় ধরা হচ্ছে পুজো ২০২৬ বা বাংলা নববর্ষ ১৪৩৪।
এখন প্রশ্ন একটাই—দ্বিতীয় অধ্যায়ে মোহন দাস ফিরবেন কীভাবে? আর এই নতুন যুদ্ধের ময়দানে মধু কতদূর যেতে পারবেন?
এসএন