পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন প্রবাসীরা: ইসি

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো.সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ করা হবে আইটি বেজড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ করা হবে আইটি বেজড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে একটি ব্যালটে একসঙ্গে সকল প্রতীক প্রিন্ট করে ভোটের ২ মাস আগে বিদেশে পাঠানো হবে। এছাড়া ভোটদানে নিবন্ধনের জন্য আলাদা একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন প্রস্তাবিত পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা প্রস্তাব আছে সাথে সাথেই ব্যালট প্রিন্ট করা হবে, আরেকটা প্রস্তাব হচ্ছে ব্ল্যাংক ব্যালট, সেখানে প্রার্থীর নাম লিখে ভোটারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা যদি মার্কা ব্যালটে ছাপিয়ে দুই মাস আগে ব্যালট পাঠাই যাতে মার্কায় ভোট দিয়ে দেয় এমন প্রস্তাবও আছে।

তিনি আরও বলেন, পোস্টাল ব্যালটের জন্য ৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প হবে। সরকারিভাবে ভোট নিতে হলে ৭শ টাকার মতো ব্যায় হবে। এতে একটা বড় অংশকে ভোটে আনা সম্ভব।

প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য তিন সপ্তাহ প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটাররা অনলাইনে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করবে।

ইসি বলেন, পোস্টাল ব্যালটের যে সীমাবদ্ধতা ছিল সেই সীমাবদ্ধতা কাটানোর জন্য এখন এই পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতিটা হবে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট। আগে যেটা একজন ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফিজিক্যালি আবেদন করতে হতো; একটা পোস্টাল ব্যালটের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই আবেদনটা তারা করতে পারবেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে।

নরমাল পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আগে ব্যালটটা প্রেরণ করা হতো ভোটারের কাছে; এই ব্যালটটা প্রথমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যেত তারপরে তিনি পাঠাতেন। ফলে সময়ক্ষেপণ হতো। আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই ব্যালটটা ছাপানোর পরে এখানেই সহকারী রিটার্নিং অফিসার বা কোনো একজনের উপস্থিতিতে বা বিশেষ অ্যারেঞ্জমেন্টে এখান থেকেই ওই সময়টা বাঁচিয়ে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হওয়ার সাথে সাথে পাঠিয়ে দেওয়া। টেকনিক্যাল কমিটি এটাকে একটু রিভিউ করবে। একটা ডিপিপির মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খাগড়াছড়িতে বাস চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর Jul 12, 2025
কলেজে ভর্তিতে বড় পরিবর্তন, আবেদন শুরু জুলাইয়ের শেষে Jul 12, 2025
img
ধারাবাহিক ব্যর্থতায় প্রশ্নের মুখে কোচ সালাউদ্দিন Jul 12, 2025
img
‘জীবন খুবই অনিশ্চিত’, জোতাকে স্মরণ করে আবেগঘন মন্তব্য সিরাজের Jul 12, 2025
বিএনপির জয়নাল আবদীনকে হা'ম'লা'র মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হয়েছিলো : দুদু Jul 12, 2025
সাভারবাসীর জন্য কি সুসংবাদ দিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা? Jul 12, 2025
১৩ বছর একসাথে সংসার করেছি। অনেক শখ ছিল, দুইটা বাচ্চাকে একসাথে বড় করব! Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে কোন কোন রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে: রিজভী Jul 12, 2025
img
দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী নওশাবার প্রথম ভারতীয় সিনেমা Jul 12, 2025
img
যা দেখছি, তা শুধু ভয়াবহ নয় বীভৎস: বাঁধন Jul 12, 2025
img
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা বাদশা বহিষ্কার Jul 12, 2025
img
‘সলো লেভেলিং’ ওয়েবসিরিজ: সং জিন-উ হচ্ছেন বেয়ন-উ-সেয়ক Jul 12, 2025
img
রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : সিপিবি Jul 12, 2025
img
আমাদের কাজকর্ম যেন আওয়ামী লীগের মতো না হয়: ড. মঈন খান Jul 12, 2025
img
‘সাহসী হোন সাহস দেখান’, মিটফোর্ডের ঘটনায় খায়রুল বাসারের আহ্বান Jul 12, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭ জন Jul 12, 2025
img
দেশে নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেবো না : রিফাত রশিদ Jul 12, 2025
img
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে বিমানে বোমার হুমকি মায়ের, তাতেও কাজ হলো না Jul 12, 2025
img
আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে লিখিত আদেশ প্রকাশ ট্রাইব্যুনালের Jul 12, 2025
img
সারা দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: আইজিপি Jul 12, 2025