এরই মধ্যে ২০টিরও বেশি দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-রোষে পড়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়া। এবার তালিকায় যোগ হলো আরও ২৭টি দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উপর শুল্ক ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
এপির প্রতিবেদন মতে, ইউরোপের ২৭টি দেশ নিয়ে তৈরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগামী ১ অগস্ট থেকে কার্যকর হবে নতুন শুল্ক। শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েনকে পাঠানো চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নই নয়, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কোপে পড়েছে প্রতিবেশি দেশ মেক্সিকোও। দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন। বলেছেন, ‘সংলাপ, স্থিতিশীলতা ও একটি গঠনমূলক ট্রান্স আটলান্টিক অংশীদারিত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইইউ।’
‘একই সাথে আমরা ইইউ স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেব, যার মধ্যে প্রয়োজনে আনুপাতিক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করাও অন্তর্ভুক্ত,’ এক বিবৃতিতে বলেন ভন ডার লিয়েন।
গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময় তিনি ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা বলেছিলেন। তার বক্তব্য, ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি নন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, ইউরোপের দেশগুলো ‘সুযোগ’ নেয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই হুমকির পরই তার সঙ্গে কথা বলেন ইইউ প্রধান। তারপর সুর খানিক নরম করেন ট্রাম্প। তার ফলেই করের হার ৫০ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হলো।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশকে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। এরপর এপ্রিলে সেই শুল্কের দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেন তিনি। তারপর সেই সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন।
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিজের মতো শুল্ক চাপাবে। ৯ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকেই একে একে বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক চাপানো শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরআর/টিকে