রামায়ণ - ভারতীয় পুরাণনির্ভর গল্প হলেও, এখন সেটি হয়ে উঠছে আধুনিক সিনেমার এক বিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর এই নতুন অধ্যায়ে যিনি একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে, তিনি হলেন ‘কেজিএফ’-খ্যাত যশ। এতদিন ধারণা করা হচ্ছিল, যশ রাবণ চরিত্রে থাকবেন শুধুমাত্র দ্বিতীয় পর্বে। তবে অফিশিয়াল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যশ প্রথম পর্বেই থাকছেন গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি নিয়ে - এক ঘণ্টারও বেশি স্ক্রিন টাইম নিয়ে।
এই সিদ্ধান্ত শুধু চমকপ্রদ নয়, বরং পুরো কাহিনির ভিত্তিই বদলে দিচ্ছে। প্রথম পর্বেই তৈরি হবে রাম ও রাবণের দ্বন্দ্বের ভিত, যেখানে যশ-এর রাবণ হয়ে উঠবে গল্পের মূল চালক। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মুম্বাইয়ে তাঁর অংশের প্রায় পঞ্চাশ দিনের শুটিং শেষ হয়েছে।
পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির এই রামায়ণ নির্মাণের পেছনে রয়েছে এক বিশাল পরিকল্পনা। কেবল চোখধাঁধানো ভিএফএক্স নয়, বরং হলিউডের মতো স্ট্রাকচারে ভাগ করা হয়েছে শিডিউল, চরিত্র নির্মাণ ও ব্যাকস্টোরির স্তর। ২০২৬ সালের দীপাবলিতে মুক্তি পাবে প্রথম পর্ব, যার পোস্ট-প্রোডাকশন এখন পুরোদমে চলছে।
দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সেখানে দর্শক দেখতে পাবেন রাম ও রাবণের চূড়ান্ত যুদ্ধ। অগাস্ট ২০২৫ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ভাগের শুটিং, যেখানে রণবীর কাপুর থাকবেন রামের চরিত্রে, সাই পল্লবী সীতা, সানি দেওল হনুমান এবং যশ সেই একই রাবণ রূপে, আরও ভয়ঙ্কর হয়ে।
পুরো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি যেন এক পৌরাণিক রূপকথার আধুনিক রূপ। এটি শুধু আরেকটি সিনেমা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত পৌরাণিক মহাযাত্রা। প্রযোজক নামিত মালহোত্রা এই প্রোজেক্টকে ভারতের সবচেয়ে ভিজ্যুয়ালি শক্তিশালী এবং থিয়েটার-নির্ভর সিনেমা হিসেবে দাঁড় করাতে চান।
সবশেষে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, যশ-এর রাবণ চরিত্র হতে যাচ্ছে তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে স্তরযুক্ত এবং চ্যালেঞ্জিং অবতার। ‘কেজিএফ’-এর পর এটি হতে পারে তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় চরিত্র। আর রাম ও রাবণের এই দ্বৈরথ বদলে দিতে পারে ভারতীয় পৌরাণিক ছবির সংজ্ঞা।
টিকে/