অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমের আদালত এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়েছে।
নতুন এ অধ্যাদেশে এ মামলার অভিযোগসংক্রান্ত ধারা না থাকায় আদালত মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।’
এর আগে গত ১৫ মে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলার আবেদন করেন লায়লা। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পরবর্তী আদেশের জন্য আজ (১৩ জুলাই) দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১০ মে প্রিন্স মামুন দারোয়ানকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে লায়লার বাসায় প্রবেশ করেন।
তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। লায়লা ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে তার উপস্থিতিতে হতচকিয়ে যান। প্রিন্স মামুনকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মামলা কোর্টে বিচারাধীন, এ বিষয়ে তার কিছু করার নেই বলে জানিয়ে দেন।
তখন মামুন তার ফেসবুক থেকে লাইভ ভিডিও প্রচার করতে থাকেন। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রিন্স মামুন নামক ফেসবুক পেজ থেকে চারবার লাইভ ভিডিও প্রচার করে শোবার ঘর, বাথরুম, ড্রয়িং রুমের বিভিন্ন জায়গায় ও লায়লাকে গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায়, শুয়ে থাকাসহ বিভিন্ন ভিডিও, গালাগাল, হুমকি, অশ্লীলভাবে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাইভ প্রচার করেন। যার প্রতিটা ভিডিও এক মিলিয়নের বেশি ভিউ বা প্রদর্শিত হয়েছে।
লায়লার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে প্রিন্স মামুন লায়লার মান-সম্মান ক্ষুণ্নসহ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রচার করেন। এর ফলে লায়লার ব্যক্তিগত জীবন এখন হুমকির সম্মুখীন হয়ে গেছে।
পরে লাইভে প্রচারিত ভিডিওগুলো আসামি তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে খণ্ড খণ্ডভাবে প্রচার করে সামাজিকভাবে লায়লার সম্মানহানি করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এসএন