বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের পরে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে এবং একটা নন-পলিটিক্যাল একটা সরকার যারা মধ্যবর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের অধীনে আমি মনে করি যে এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছে। বিশেষ করে, সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গিয়েছিল, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তারা ভেঙে দিয়েছিল, সেগুলোকে আবার একটু পুনর্গঠনের চেষ্টা করা, সে কাজগুলো হচ্ছে।
রবিবার (১৩ জুলাই) দেশের এক গণমাধ্যমের বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন নিয়ে অনেকেই খুব নেগেটিভ কথা বলছেন। কিন্তু আমি মনে করি যে সেখানেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রবলেম আছে অনেকগুলো। সেই সঙ্গে জুডিশিয়ারিতে উন্নতি হয়েছে। সংস্কার কর্মসূচিগুলো এগিয়ে চলেছে বেশ সময় মতো, টার্গেট ঠিক রেখেই। সুতরাং খুব একটা সমস্যা আমি দেখছি না। পলিটিক্যাল ইস্যুতে তর্ক-বিতর্ক হবে। গণতান্ত্রিক একটা দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হবে, কথাবার্তা হবে। এটা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, সবাই যদি আমরা একটু উদ্যোগী হই, আমরা সহযোগিতা করি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চয়ই আগের চেয়ে ইমপ্রুভ করবে। সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা যে নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। ইতোমধ্যে লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার যে সভা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে- সেই বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যবর্তী সময়ে আশা করছি যে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই নির্বাচনটা হলে এবং নির্বাচন ট্র্যাকেই যখন আমরা দেশ উঠবে, তখন দেশ অনেকটা গতি ফিরে পাবে এবং একটা সঠিক পথে এগিয়ে চলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মাইনাস টু ফর্মুলা এখনো সক্রিয়- এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একেবারে ভিত্তিহীন এবং আমার মনে হয় কিছুটা সত্যকে একটু বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা। কারণ কথাটাই হচ্ছে এটা, আমাদের প্রধান উপদেষ্টাই বলেছিলেন, যখন প্রথম যে মিটিংয়ে আসছিলাম, আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবগুলোতে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে একমত হওয়ার চেষ্টা করব।
সবগুলো যে একমত হবে- তা তো হবে না। কারো মতভেদ থাকতে পারে, মতপার্থক্য থাকতে পারে। তো যেগুলোতে একমত হবো, সেগুলো আমরা ইমপ্লিমেন্ট করব। আর যেগুলো একমত হবো না, সেটা আমরা সামনের পার্লামেন্টের জন্য রেখে দেব। পার্লামেন্টে সেগুলো আমরা জনগণের সামনে নিয়ে যাব। বিষয় হচ্ছে যে মূল বিষয়টা হচ্ছে জনগণ। যেকোনো রিফর্ম বলুন, যেকোনো পরিবর্তন বলুন- এটা করতে হলে বিশেষ করে সংবিধানের ক্ষেত্রে আপনাকে জনগণের মতামতটা অত্যন্ত জরুরি। সেটার একমাত্র পথ হচ্ছে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট আসবে, সে পার্লামেন্ট দ্বারা যখন সেটা ইমপ্লিমেন্টেড হবে তখন।
আরআর