ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পহেলগামে জঙ্গি হামলার জেরে দেশটির সঙ্গে সংঘাতের সময় পাকিস্তান পরমাণু বোমা ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল কি না— সম্প্রতি এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
সংঘাত ও তার পরবর্তিতে যুদ্ধবিরতির ৬৩ দিন পর শেহবাজ বলেছেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র শান্তির জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য। আগ্রাসনের জন্য নয়।
শনিবার রাজধানী ইসলামাবাদে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শেহবাজ়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের সেনা অভিযানে পাকিস্তানের ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে পাল্টা তার জবাবও ইসলামাবাদ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এর পরে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় শেহবাজ়কে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্ত ভাবেই শান্তির জন্য। দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে। আগ্রাসনের জন্য নয়।’’
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। প্রথমে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে নয়াদিল্লি, তার পর গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে অভিযান চালায় ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই সেনা অভিযানর নাম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাল্টা সেনা অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করে পাকিস্তান। টানা চার দিন ধরে সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান।
দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় এই সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। একাধিক গোয়েন্দা দাবি করা হয়েছে, ভারত-পাক সংঘাত পরমাণু শক্তি প্রয়োগের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বার বার এই দাবি করেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রী সেই সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়েই দিলেন।
আরআর