প্রকাশ্যে এল দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের নতুন ছবি’ পাঞ্জাব ৯৫’-এর নতুন পোস্টার। যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই ছবিকে ঘিরে বিতর্ক ফের উসকে দিচ্ছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি সকলের সামনে তুলে ধরবে মানবাধিকার কর্মী যশবন্ত সিং খালরার জীবনকাহিনি। রবিবার এই ছবির নতুন একটি পোস্টার নিজের সোশাল মিডিয়াতে ভাগ করে নিয়েছেন দিলজিৎ। সেই পোস্টার দেখার পর নেটিজেনরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিলজিৎকে। যদিও এর আগে এই ছবি ঘিরে দানা বেঁধেছিল নানা বিতর্ক।
বিভিন্ন কারণে বারবার পিছিয়েছে এই ছবি মুক্তির দিন। সেন্সর বোর্ডের কোপেও পড়েছে পরিচালক হানি ত্রেহানের এই ছবি। প্রথমে এই ছবির মোট ১২৭টি দৃশ্য ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই ছবি থেকে সেন্সর বোর্ডের তরফে। এখানেই শেষ নয়, ছবির নাম, পোস্টার কোথাও ‘পাঞ্জাব’ উল্লেখ করা যাবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে ছবির পরিচালক পালটা বলেছিলেন যে, এই ছবি থেকে যদি ১২৭টি দৃশ্য বাদ দেওয়া হয় তাহলে ছবির আর কোনও অর্থ থাকবে না। শুধু তাই নয় পাঞ্জাবের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবির নাম থেকে ‘পাঞ্জাব’ কীভাবে সরানো সম্ভব? উল্লেখ্য এই ছবি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। মানবাধিকার কর্মী যশবন্ত সিং খালরার জীবনকে তুলে ধরা হবে এই ছবিতে। যিনি ২৫ হাজারের বেশি নিখোঁজ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে তাঁকেই অপহরণ করে হত্যা করা হয়। তাঁর মতো ব্যাক্তিত্বের আত্মত্যাগকেই দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক তাঁর এই ছবির মাধ্যমে।

অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী যশবন্ত সিং খালরার পরিবার ও তাঁর স্ত্রী সেন্সর বর্ডের এই হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে, “এই ছবি বানানোর অনুমতি পরিবারের তরফে দেওয়া হয়েছে। এতে কোনওরকম ভুল নেই। ছবিটিতে কোনওরকম কাটছাঁট না করে মুক্তি দেওয়া উচিত। একই সুরে সুর মিলিয়ে পরিচালক বলেছেন, ‘আমরা যদি আমাদের ইতিহাস আমাদের ছবির মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছে না দিতে পারি তাহলে স্বাধীনতা কীসের? আমরা এই ছবি মুক্তি দেওয়ার জন্য গত আড়াই বছর ধরে অপেক্ষা করছি।”
আরআর