অন্তর্বতী সরকার খুব দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি আসছে। আমরা দ্রুত নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছি।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যে তিনটা মেজর কাজ। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন— এই কাজগুলো যথেষ্ট ভালো গতিতে এগোচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন রিফর্মটা পাঁচ বা সাত দিনে দুই তিনটা মিটিং করলেই তো হয়ে যায়।
আসলে এই কাজগুলো তো এত সহজে হয় না। অন্যান্য দেশের পলিটিক্যাল রিফর্মের হিস্ট্রি যদি আপনি দেখেন, এটা অনেক ক্ষেত্রে অনেক বছর লেগে যায়। নেপালের ক্ষেত্রে একটা সংবিধান করতে সাড়ে ৮ বছর লেগেছে। কারণ এটা নিয়ে ডিবেট করতে হয়।
কোনটা চলবে, কোনটা চলবে না। কিছু কিছু রিফর্ম আমরা অলরেডি করে ফেলেছি। কিছু কিছু চলমান বা সামনে হবে।’
প্রেসসচিব বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে আগামী বছরের প্রথম দিকে যে ইলেকশনটা হবে, তখন যে ডেমোক্র্যাটিক গভমেন্ট আসবে, তার কাছে যেন আরো বেটার বাংলাদেশকে রেখে যেতে পারি। সেই জায়গা থেকেই যেন বাংলাদেশটা এগিয়ে যায়।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বেটার হলে সবার জন্য ভালো হতো বলে আমরা মনে করি।কোনো ঘটনা ঘটলে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হচ্ছে। বিচারের সম্মুখিন হচ্ছে। তবে এটা আগেই প্রিভেন্ট করা গেলে ভালো হতো। সেটার জন্য পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেখানে নিয়ে যাওয়া দরকার, সেটা একটা কঠিন কাজ, কিন্তু আমরা অনবরত এটা করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সবার বোঝা উচিত আমরা একটা বিপ্লবোত্তর কান্ট্রিতে আছি। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে আমরা এখানে আসছি। তারা যখন আমাদের সবটুকু দিয়ে সাপোর্ট দেয়, তখন আমরা কাজগুলো করতে পারি। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘পুলিশের তো কনফিডেন্ট একদম জিরো ছিল। সেই জায়গা থেকে তাদের কনফিডেন্ট যত বাড়ানো যায়, দেখেন ঢাকায় ৩৫ হাজার পুলিশ ছিল, আমরা ৩২ হাজারকেই অন্যান্য ডিস্ট্রিকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকিদেরকে বাইরে থেকে নিয়ে এসেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে ১ লাখ ২০ হাজার পুলিশ নতুন রিক্রুট করা হয়েছে। তাদের অনেকেরই ছাত্রলীগের ব্যাকগ্রাউন্ড। ইচ্ছা করলেই তো আমরা অনেক কিছু করতে পারছি না, কিন্তু আমাদের চেষ্টাটা আছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য।’