ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সরকারে বড় ধরনের রদবদলের অংশ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোকে প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন দেন। শ্যামিহাল ২০২০ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমি ইউক্রেনের সরকারের নেতৃত্ব ও এর কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার জন্য ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম প্রস্তাব করেছি। আমি শিগগিরই নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।’’
নিজের পদত্যাগপত্রের ছবি প্রকাশ করে টেলিগ্রাম চ্যানেলে শ্যামিহাল লিখেছেন, দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করায় আমার পুরো দলকে ধন্যবাদ! ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের সংসদে (ভারখোভনা রাদা) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার প্রতি আস্থা রাখায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহালকে ইউক্রেনের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হতে পারে। বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা রুস্তেম উমেরভকে যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার ইউক্রেনের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ সময় তাকে দেশের নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের নির্বাহী শাখার রদবদলের সূচনা হয়েছে। কিয়েভের ক্ষমতা আরও জোরদার করাই এই রূপান্তরের লক্ষ্য।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিরল খনিজ সম্পদ চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন তৈরি হয়। ওই কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। এমনকি হোয়াইট হাউস সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জেলেনস্কি। আর সেই সময় আলোচনায় আসেন দেশটির ৩৯ বছর বয়সী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
এসএন